রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ মঙ্গলবারও (০৩ জুন) দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় অংশ নেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে সকাল ১১টায় এই অলোচনা শুরু হবে।
সোমবার (০২ জুন) বিকেলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৩০টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
গত বছরের অক্টোবরে গঠিত সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা পড়ার পর, সেসব সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা সফলভাবে প্রথম ধাপের আলোচনা শেষ করেছে। পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি প্রস্তাবের ওপর দলগুলোর কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করে কমিশন। এরপর গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদাভাবে প্রথম পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৬ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথম ধাপের আলোচনার অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তবে ক্ষমতার ভারসাম্যসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রশ্নে এখনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।
বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক আলী রীয়াজ সেদিন তুলে ধরেন যে, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণের কাঠামো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কতবার নির্বাচিত হতে পারবেন, একজন সংসদ সদস্য কতগুলো পদে থাকতে পারবেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া, এবং সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া— ইত্যাদি মৌলিক কাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
তবে, ঐকমত্য কমিশন আশাবাদী যে, এসব বিষয়ে অনেক দলই আরও আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং আলোচনায় নমনীয়তা দেখিয়েছে। আজকের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে এই অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
/এএস