রাজধানীর হাজারীবাগ পশুর হাট। প্রতিবছরের মতো এবারও এই হাটে বিক্রি হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির পশু। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু বিক্রি করতে এই হাটে এসেছেন বেপারীরা। ক্রেতা না থাকায় কেউ পশুর পাশে দাঁড়িয়ে, কেউ বসে অলস সময় পার করছেন। আর অপেক্ষায় আছেন ক্রেতার।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগের পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, সারি সারি সাজানো আছে ছোট, মাঝারি ও বড় গরু। গরুর পাশেই বসে আছেন বিক্রেতারা। আর অপেক্ষা করছেন ক্রেতার জন্য। পুরো হাটে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যাও খুবই কম। ক্রেতার সংখ্যা যা আছে হাতেগোনা।
হাজারীবাগ পশুর হাটে কিছুক্ষণ পর পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্র্যাকে করে আনা হচ্ছে গরু আর ছাগল। কেউ এনেছেন ছয়টি গরু, কেউবা ১০-২০ টি পশু নিয়ে হাটে এসেছেন। তবে বিক্রেতারা আশাবাদী আগামীকাল (৩ জুন) থেকে হয়ত জমে উঠবে পশুর হাট।
কুষ্টিয়া থেকে আসা নাছির উদ্দীন বেপারী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি আটটি গরু নিয়ে আসছি দুদিন হয়েছে। এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয়নি। টানা পাঁচ বছর ধরে এই হাটে গরু বিক্রি করছি। আশা করছি, ঈদের আগ মুহূর্তে বিক্রি হবে।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে হতাশার সুর নীলফামারী থেকে আসা ইসমাইল হোসেনের কণ্ঠে। জানতে চাইলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, অন্যান্য বছর এমন সময়ে ক্রেতা সংখ্যা প্রচুর থাকে। এ বছর ক্রেতা সংখ্যা খুবই কম। ন্যায্য মূল্য পাব কিনা বা গরু বিক্রি করতে পারব কিনা– এটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমার এখানে আশপাশে এখনও কোনো বিক্রি হয়নি।
বিক্রেতারা জানান, পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশু পালনের খরচ বেশি পড়ায় এবার কম দামে পশু বেচার সুযোগ নেই তাদের। আর কোরবানির আগে এখনও বেশ কিছুদিন সময় থাকায় কিনতে রাজি নন ক্রেতারা। তারা বাজার যাচাই করতে হাটে আসছেন।
দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার ঢাকায় মোট ২০টি পশুর হাট বসবে— ঢাকা দক্ষিণে ৮টি ও উত্তরে ১২টি। এর মধ্যে ১৭টির দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি ৩টি হাটের ইজারা দুই-একদিনের মধ্যেই দেওয়া হবে। এছাড়া গাবতলী (উত্তর সিটি) ও সারুলিয়া (দক্ষিণ সিটি) এলাকায় দুটি স্থায়ী পশুর হাটও বসবে।
এসএইচ/এফএ