কোরবানির পশুর হাট শুরুর দ্বিতীয় দিন চলছে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনেও জমেনি বসিলা পশুর হাট। এখনো কোনো পশু বিক্রি করতে না পেরে হতাশ অনেক ব্যাপারী। তবে, হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনো চার দিন সময় আছে হাট জমে ওঠার।
সোমবার (০২ জুন) বিকেলে মোহাম্মদপুরের বসিলা ৪০ ফিট পশুর হাট ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতা এবং হাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
নওগাঁর নিরাপদপুর থেকে এই হাটে এসেছেন এনামুল ইসলাম। নিয়ে এসেছেন ১১টি গরু। কিন্তু আজ দ্বিতীয় দিন পার হতে চলেছে, এখন পর্যন্ত কোনো গরু বিক্রি করতে পারেননি।
তিনি বলছিলেন, ‘ক্রেতারা আসছে, গরু দেখছে, দাম করছে কিন্তু নিচ্ছে না।’
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন জহুরুল ইসলাম। তিনি নিয়ে এসেছেন ২১টি গরু। এখন পর্যন্ত তিনিও কোনো গরু বিক্রি করতে পারেননি।
তবে এই দুই ব্যাপারে ভাগ্যবান আনারুল। তিনি গতকাল হাটে সাতটি গরু নিয়ে এসেছেন। তার মধ্যে একটি বিক্রি করেছেন প্রত্যাশিত দামের কাছাকাছিতে।
বিজ্ঞাপন
আনারুল বলছিলেন, রিস্ক নিলাম না, ছেড়ে দিলাম। যদি হাট না জমে।
এই তিন ব্যাপারী ছাড়াও আরও অন্য ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বসিলা হাট এবার এখনো গরুতে ভরপুর হয়নি। এখনো হাতে তিন দিন সময় আছে। আজ রাতে ও পরশু গরু আসতে পারে বলে তাদের ধারণা।
তবে ব্যাপারী এনামুল গত ৫ বছর ধরে তিনি এই হাটে গরু নিয়ে আসেন। গত বছর চারটি গরু লস করে বিক্রি করেছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন, বসিলা হাটের এমন দৃশ্য তিনি কখনো দেখেননি। প্রথম দিন থেকে বেচা বিক্রি ভরপুর থাকে। এ কারণে তিনি বেশ হতাশ।
হাট ঘুরে দেখা গেল, গত বছর যে জায়গা গুলোতে গরুতে ভরপুর থাকতো এবার দ্বিতীয় দিনেও সে জায়গাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। যারা এসেছেন তাদের অনেকের মাথায় হাত।
পাবনা থেকে আসা মিলন জানালেন, তারা বেপারীর আশিটা গরু নিয়ে এসেছেন কিন্তু এখন পর্যন্ত একটাও বিক্রি করতে পারেননি।
পুরো হাটে লোকজন তেমন নেই। তবে মাইকে হাত ডাক চলছে। যদিও হাসিল আদায় করার জন্য চারটি হাসিল ঘর তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু একটি মাত্র সক্রিয়। বাকি তিনটি ফাঁকা পড়ে আছে।
হাসিল আদায়কারী কর্মীদের একজন জানালেন, তারা স্বাভাবিকভাবে গরু বিক্রি করছেন। তবে সংখ্যা কতটি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
যখন তার সামনে কথা হচ্ছিল ঠিক তার আগ মুহূর্তে দুটি গরু বিক্রির দৃশ্য দেখা গেছে। একটি ৭৮ হাজার টাকা এবং অপরটি এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। আর সেই ঘোষণা আসছিল হাট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দেওয়া মাইকে।
হাট কর্তৃপক্ষের কর্মী দুলাল নামে একজন জানালেন, বৃষ্টির কারণে হাটে এখন পর্যন্ত গরু কম এসেছে। তবে তারা আশাবাদী আগামী ৩ দিনে আরও গরু ঢুকবে।
এমআইকে/ইএ