বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫, ঢাকা

শেখ হাসিনার পতন দিবসে চালু হবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৫, ১০:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

Faruki
চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পতন হয় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মারক সংগ্রহের কাজ শেষ করে চলতি বছরের একই তারিখে অর্থাৎ ৫ আগস্ট চালু হবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর। 

রোববার (১ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের ব্যবহৃত জিনিস স্মৃতি আকারে সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে এটা শুরু হয়েছে। এর জন্য বড় টিম তৈরি হয়েছে। যারা সারা দেশজুড়ে আগামী দেড় মাস কাজ করবে। এ লক্ষ্যে কমিটি এবং অনেকগুলো সাব কমিটি হয়েছে। 

এ সময় শান্তর ব্যবহৃত পোশাক ও ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী সংগ্রহ করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা। শান্তর মায়ের কান্নায় বেদনাবিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শান্তর মা উপদেষ্টার হাতে ছেলের পোশাক ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র তুলে দিয়ে ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।

শান্তর মাকে সান্ত্বনা দিয়ে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘প্রত্যেকটা ফ্যামিলিতে তাদের চোখের দিকে তাকালে আপনি সহ্য করতে পারবেন না। তাদের বেদনাটা আমরা এখানে দেখলাম। এখন আমাদের কাজ হবে, জুলাই জাদুঘর যে ভিজিট করবে তার কাছে এই বেদনাটা ট্রান্সফার করা।’ 

ফারুকী বলেন, ‘আমরা ১৬ বছর দুঃশাসনের মধ্যে ছিলাম। জুলাই শুধু বীরত্বের নয়, একই সঙ্গে বেদনারও গল্প। সে গল্প একই পরিমাণ বেদনা নিয়ে যেন জাদুঘরের ভিজিটরের কাছে যায়। এটা আমাদের কাজ। এ কাজ করার জন্য আমরা শহীদদের কিছু অবজেক্ট কালেক্ট করছি।’


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, ‘শুধু অবজেক্ট না, যে শূন্যতা উনি (শান্তর মা) ফিল করছেন সে শূন্যতা যেন আমাদের ফটো ডকুমেন্টেশন সিরিজে উঠে আসে সেটার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। অবজেক্ট নেওয়া এবং এ শূন্যতাকে কীভাবে ধারণ করা যায় সে কাজটা আমরা চট্টগ্রাম থেকে শুরু করলাম। তবে এ ধরনের কাজ করতে সময় লাগে। কিন্তু আমাদের হাতে সময় কম। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘খুনি এখনো বলছে সে কোনো খুন করেনি। তাদের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নাই। জুলাই জাদুঘরের কাজ হবে খুনির সব অপরাধ জাতির সামনে তুলে ধরা। যেন ৫০ বছর পর আমরা যখন কেউ থাকব না, তখনকার প্রজন্ম যেন জাদুঘরে গিয়ে দেখতে পায় আসলে কী হয়েছিল।’

সংস্কৃতি উপদেষ্টা শান্তর বাসা থেকে সার্কিট হাউজে ফিরে শহীদ শহিদুল ইসলাম ও মো. ফারুকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের ব্যবহার্য সামগ্রী গ্রহণ করেন। 

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর