রাজধানীর উত্তরার সবচেয়ে বড় পশুর হাট হিসেবে পরিচিত দিয়াবাড়ির হাট। এই হাটের ইজারাদার চূড়ান্ত না হওয়ায় আগে-ভাগে গরু নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছেন বেপারীরা। বিদ্যুৎ, ওয়াশরুম এবং থাকার জায়গার সংকটসহ বৃষ্টিতে নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন তারা।
শুক্রবার (৩০ মে) সরেজমিন উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টর দিয়াবাড়ি পশুর হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বেপারীদের অভিযোগ, আমরা প্রতি বছর এই হাটে আসি। কিন্তু এবার আসার পর কোনো ইজারাদারকে খুঁজে পাচ্ছি না। গরু, ওয়াশরুম ও নিজেদের থাকার জায়গা নিয়ে ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়া হাটও এখনো সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি। একটি পক্ষ ভালো জায়গা দেবার কথা বললেও তাদের খোঁজ নেই।
সরেজমিনে হাটে দেখা যায়, বড় জায়গাজুড়ে শুধু বাঁশ দিয়ে গরুর খুঁটির অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাউনি নেই কোনো জায়গায়। এছাড়া বিদ্যুতের লাইন, শৌচাগারসহ বেপারীদের কোনো সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়নি। হাট ঘুরে দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তিকেও পাওয়া যায়নি।
নাটোর থেকে ১৪টি গরু নিয়ে এই হাটে আসা আসলাম বেপারী ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তো ভেবেছিলাম এখানে অন্তত পানি আর আলো থাকবে। কিন্তু এখন দেখি গরুকে খাওয়ানোর জন্য দূর থেকে পানি এনে দিতে হচ্ছে। রাতে আবার চারদিকে অন্ধকার, কোনো বাতি নেই।
তিনি আরও বলেন, ভালো জায়গার আশায় আগে এসে বিপদেই পড়েছি মনে হয়। ভয়ে আছি কেউ এসে জায়গা নিয়ে সমস্যা করে কি না?
বিজ্ঞাপন

বেপারীদের অভিযোগ, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো—শৌচাগারের অভাব। ফলে বাধ্য হয়ে আশপাশের ঝোঁপঝাড়ে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে তাদের।
ঝিনাইদহ থেকে আসা আরেক বেপারী ইয়ার আলী বলেন, গরুর রাখা জায়গা হয়েছে। কিন্তু হাটের অবস্থা ভালো নয়।
ক্রেতা আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, কিছু লোকজন আসছে গরু দেখতে। তবে বৃষ্টি না থাকলে হয়তো আরো বেশি ক্রেতা আসত।
আলমগীর হোসেন নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে হাটে দেখা হয়। তিনি বলেন, আজ অফিস ছুটি দিন, তাই এমনিতেই হাটে ঘুরতে এসেছি। হাট সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হলেও গরু আসছে ভালোই। দামও ভালো চাচ্ছেন বেপারীরা।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, কাগজপত্র জটিলতার কারণে দিয়াবাড়ি হাটের ইজারাদার চূড়ান্ত ঘোষণা সম্ভব হয়নি। তবে ১০ কোটি ৮ লাখ টাকায় এস এ ব্রাদার্স দিয়াবাড়ি পশুর হাট ইজারা পাওয়ার কথা রয়েছে।
এএসএল/জেবি

