রাজধানীর বাড্ডা এলাকার গুদারাঘাটের পাশে বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) নিহতের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন। তবে মামলায় কারও নামোল্লেখ করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার স্বামী পেশায় একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী এবং গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। রোববার সন্ধ্যার পর আমার স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে বাড্ডার মধ্য বাড্ডা গুদারাঘাট এলাকার ৪ নং রোডের জাফর হাওলাদারের মুদীর দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার ওপরে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে ছিলেন। ওই সময় ১০টা ২ মিনিটে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের হাতে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তারা তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি গুলি করেন। তাদের ছোড়া গুলি তার স্বামীর ঘাড়ে, কাঁধে, পিঠে, বুকের নিচে, পেটে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর স্বামী রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে হত্যাকারীরা ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে থাকা কয়েক ব্যক্তি তারা প্রথমে তার স্বামীকে অটোরিকশা যোগে চিকিৎসার জন্য বক্ষব্যধি হাসপাতাল মহাখালীতে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পরে তার স্বামীকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/ইএ

