রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সামিউর রহমান খান আলভি হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। গত ১৮ মে থেকে মঙ্গলবার (২০ মে) রাত পর্যন্ত ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রায়হান (২০), হাবিবুর রহমান মুন্না (২৬), সমতি পাল (২৩) ও কাউসার (২১)।
বিজ্ঞাপন
মাদক সেবন ও গ্রহণ নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে আলভিকে খুন করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃতরা।
নিহত আলভী হাজারীবাগ থানার ৪২/জি, মনেশ্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, ‘মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে বাগানবাড়ি লেকে আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের কথা কাটাকাটি হয়। তারই জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যেভাবে খুন হন আলভী
ডিসি মাসুদ জানান, গত ১৬ মে সামিউর রহমান খান আলভী তার তিন বন্ধু মো. আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাঈল হোসেনের সঙ্গে ধানমন্ডি লেক পাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় সেখানে কয়েকজন যুবক এসে তাদেরকে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ২১/১ বাসার সামনে নিয়ে যায়। পরে তারা তাদের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা সামিউর ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউরকে মৃত ঘোষণা করেন। তার তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় সামিউল রহমান খান আলভীর বাবা মশিউর রহমান খান হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ মে বিকেলে রায়হানকে, ১৯ মে বিকেলে সমতি পালকে হাজারীবাগ মধুবাগ এলাকা থেকে এবং মঙ্গলবার রাতে ধানমণ্ডি লেকের বাগানবাড়ী এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান মুন্না ও কাউসারকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। আলভী হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এমআইকে/এএইচ

