‘স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না’

তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জাতীয় স্বার্থ বিঘ্নিত হবে না। এর জন্য আমরা দুটি নিরাপত্তার বিষয় রেখেছি। একটি হচ্ছে স্টারলিংককে লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ তাদের স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি করতে হবে এবং সেই গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে গেটওয়ে হয়ে ইন্টারনেট যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, তারা চাইলে বিকল্প হিসেবে বিদেশি গেটওয়ে রাখতে পারবে, কিন্তু অ্যাকটিভ ডিভাইস মনিটর করার জন্য, সেখান থেকে রাজস্ব আয়ের জন্য এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের যাদের লাইসেন্স গেটওয়ে আছে তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লোকাল গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। সেখানে এলআইসি বসাতে হবে অর্থাৎ আমাদের আইনে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যে ইন্টারসেপ্টের বিধান আছে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থা থেকে সেই কমপ্লায়েন্স মানতে হবে।

আরও পড়ুন: স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের প্যাকেজ ২০২৫

তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি অননুমোদিত ডিভাইস যাতে আমাদের সীমান্তের ভেতর না প্রবেশ করতে পারে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়, সেজন্য আমরা বলেছি ডিভাইসগুলোর জন্য এনওসি নিতে হবে। যেহেতু হাজার হাজার ডিভাইস আলাদা করে এনওসি দিতে গেলে প্রক্রিয়াগত জটিলতা তৈরি হবে, এজন্য গ্রুপ অব ডিভাইসকে একই এনওসির আওতায় ব্যাচ করে আনা যাবে।’

আজ থেকে স্টারলিংক বাণিজ্যিকভাবে পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে বলে জানান তৈয়ব। তিনি বলেন, ‘এটার জন্য তারা আমাদের কাছে আবেদন করেছে। এর জন্য তাদের ৯০ দিনের একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাউন্ড স্টেশন করতে কিছুটা সময় লাগে। এরই মধ্যে তাদের ১০ দিন সময় পেরিয়ে গেছে, আর ৮০ দিন আছে। এই সময়ে তাদের লোকাল গেটওয়ের এবং এলআইসি’র যে বাধ্যবাধকতা সেটি পালন করতে হবে। এরই মধ্যে এনটিএমসির সঙ্গে তাদের একটি সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

এদিকে দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান।

এএইচ