সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫, ঢাকা

‘গুলশানের দুঃখ’ ঝিলপাড় সড়ক!

মো. আব্দুস সবুর (লোটাস)
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৫, ০৭:১৩ এএম

শেয়ার করুন:

‘গুলশানের দুঃখ’ ঝিলপাড় সড়ক!
      • সড়কজুড়ে খানাখন্দ, বৃষ্টি হলেই জমে পানি
      • দুর্ঘটনার শঙ্কা মাথায় নিয়ে চলেন নগরবাসী
      • রাস্তা নষ্ট করছে গাড়ি পরিষ্কারের পানি
      • দ্রুতই টেন্ডারের কথা বললেন প্রশাসক


সড়কের বেশির ভাগ অংশে ছোট-বড় খানাখন্দ। কোথাও কোথাও বড় গর্ত। বেশ কিছু জায়গায় উঠে গেছে পিচ ও কার্পেট। বৃষ্টি হলেই এসব জায়গায় পানি জমে। নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। সড়কের এই অবস্থায় সীমাহীন ভোগান্তিতে লাখো মানুষ। এই দশা ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান লেকের পাশের রাস্তার। সড়কটি ‘ঝিলপাড়ের সড়ক’ হিসেবে পরিচিত হলেও মূল নাম ‘ওসমান গনি রোড’।


বিজ্ঞাপন


হাতিরঝিলের গুদারাঘাট থেকে সড়কটি বারিধারা দূতাবাস এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। বাঁশতলা পর্যন্ত যার দৈর্ঘ্য এক দশমিক ৭ কিলোমিটার৷ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অধিভুক্ত বাড্ডা-শাহজাহাদপুর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। কিন্তু বর্তমানে একেবারেই চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে।

পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মূল সড়কের বিকল্প হিসেবে এটি খুবই পরিচিত রাস্তা। তবে দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। এই রাস্তায় ভয় নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। কখন গাড়ি উল্টে যায় বলা যায় না। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষ ও এই পথে যাতায়াতকারীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির এক পাশে জলাধার। আরেক পাশে আবাসিক ভবন ও বাণিজ্যিক স্থাপনা। এরমধ্যে অনেক বাণিজ্যিক স্থাপনাই গাড়ির ওয়ার্কশপ। যে যে স্থানে ‘কারওয়াশ সেন্টার’ আছে, সেখানেই খানাখন্দ বেশি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কারওয়াশ সেন্টারগুলো তাদের সুবিধার জন্য গাড়ি ও মোটরসাইকেল ধোয়ার পর সে পানি রাস্তায় ফেলে। এতে সড়কে পানি জমে থাকে। আবার কেউ কেউ সড়কেই শুরু করেছেন গাড়ি ধোয়ার কাজ। নিয়মিত সড়কে জমাটবদ্ধ পানি সড়কের ক্ষতি করছে। যে যে স্থানে পানি জমছে, সে সে স্থানেই বিটুমিন, পাথর উঠে গেছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত।

এই রাস্তায় নিয়মিত চলাচলকারী রফিক আহমেদ নামের একজন বলেন, আমি নিয়মিত এই রাস্তায় চলাচল করি। গত ৭-৮ মাস ধরে রাস্তায় এই বেহাল দশা, কিন্তু দেখার কেউ নেই। আগের চেয়ে রিকশার ভাড়া বেড়েছে ২০ টাকা। এছাড়া এই রাস্তায় চলতেও কষ্ট হয়। প্যাডেলের রিকশা এই রাস্তায় চলতে চায় না। ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করে অনেক কষ্টে।

সোলাইমান নামের একজন রিকশা চালক বলেন, অনেক দিন ধরে রাস্তা ভাঙছে। কিন্তু নতুন করে রাস্তার কাজ হচ্ছে না। এতে যাত্রী টানতেও আগের চেয়ে বেশি কষ্ট হয়। তাই আমরা একটু বেশি ভাড়া চাই। 

গুদরাঘাট মোড়ের চা দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ধরে রাস্তা ভেঙেছে, কিন্তু সংস্কার হচ্ছে না। প্রতিদিন বহু মানুষের চলাচল এই রাস্তায়, তবু সিটি করপোরেশন কোনো কাজ করছে না। মাঝে মাঝেই দেখি খুব ঝুঁকিপূর্ণভাবে গাড়ি চলাচল করছে। এমন রাস্তা সবার জন্য ভোগান্তির। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা এই সড়কের বিষয়টি জানি৷ সবকিছু হয়েছে, দ্রুতই টেন্ডার হবে। তারপর আশা করি সড়কের সংস্কারও হয়ে যাবে। 

এএসএল/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর