দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে। রোববার (১৮ মে) কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান। দলটি শেখ হাসিনার ঘোষিত ও অঘোষিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব, আয়-ব্যয়ের উৎস এবং কর সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য বের করে আনবে।
সূত্র জানায়, অনুসন্ধানের আওতায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে সম্পদ অর্জন, অর্থ পাচার, সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। ইতিমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতি-সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিট দেওয়ার পর আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই মামলায় তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও চার্জশিট দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পূর্বাচল এলাকায় ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে, যা ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি বড় উদাহরণ। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এছাড়া গত ১৫ বছরে দেশের বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়েও ওঠেছে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ। এই তদন্তের অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে দুদকে হাজির হতে বলা হয়। তবে এই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
দুদক জানিয়েছে, অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিটি দিক গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএইচ/এইউ

