জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই একটা অর্জন দৃশ্যমান ছাড়া আর কোনো কিছু এখনো পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ‘৩৬ জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ২০২৪’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গ্রন্থটি আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও মুরশিদুল আলম চৌধুরী সম্পাদনা করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবকে নিয়ে খুব কমই গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থ জুলাই বিপ্লবের ঘটনা প্রবাহের এক অনন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। সরকারের উচিত এ ধরনের গ্রন্থ প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করা। কেননা, ৯ মাস অতিবাহিত না হতেই বিপ্লবের বয়ান মুছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বিপ্লবীদেরকে এ বিষয়ে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা দৃশ্যমান করতে রাজনীতিতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তারা কী করতে চায় সেটাও জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো জাতির সামনে তাদের মেন্যুফেস্টু তুলে ধরতে পারেনি।
মাহমুদুর রহমান বলেন, বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল জুলাই বিপ্লবের হতাহতদের সুরক্ষা, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা এবং আর যাতে এ ধরনের কোনো দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে উঠতে পারে সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এসবের কোনোটাই করতে পারেনি সরকার।
সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, এ সরকার আদৌ কোনো সংস্কার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লবের পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কোনো সংস্কার দৃশ্যমান করতে পারেনি। এ জন্য সরকারের উপদেষ্টার ব্যর্থতাই প্রধানত দায়ী।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদুর রহমান বলেন, পরিস্থিতির আলোকে বলা যায় সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সেইসঙ্গে সাফল্যের সম্ভাবনাও কমে আসছে। ফলে সরকারকে হয়তো সংস্কারের উদ্যোগ ফেলে দিয়েই একটা নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে হতে পারে।
এমএইচটি

