ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচিত মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শপথ গ্রহণ করিয়ে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নগরবাসী। তা না হলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৪ মে) সকাল ৮টার পর থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। কিছু সময়ের মধ্যে তা বিশাল জনসমাবেশে রূপ নেয়। বেলা ১০টার দিকে তারা নগর ভবনের সিঁড়ি পর্যন্ত উঠে অবস্থান নেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে অংশ নিয়ে একজন বলেন, ‘ইশরাক হোসেন আমাদের ভোটে নির্বাচিত। আমরা চাই না আর দেরি হোক। সরকারের প্রয়োজন নেই—আমরাই তাকে শপথ পড়াবো।’
একজন অংশগ্রহণকারী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ১০টায় শহীদ মিনারে তাকে শপথ পড়ানো হবে। জনগণ ভোট দিতে পারে, আবার নিজের মেয়রকেও দায়িত্বে বসাতে পারে। আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসন আদালত অবমাননার দায়ে অপরাধী হবে।’
সমাবেশ থেকে দাবি ওঠে, আদালতের রায়ে এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটে ইশরাক বৈধ মেয়র। তবু তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে তা ঠেকাচ্ছে। ফলে নাগরিক সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে ঢাকাবাসী।
মানববন্ধনকারীরা বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ইশরাক হোসেন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তবে নানা অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে ফল বাতিল চেয়ে ইশরাক আদালতে মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল তাপসের জয় বাতিল করে ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করে। ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে ইশরাকের মেয়র হওয়া নিশ্চিত করে গেজেট প্রকাশ করে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে শপথ নিতে দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও স্থবির। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাদের প্রশ্ন—কোন আইনি বা প্রশাসনিক জটিলতায় এমনটা হচ্ছে?
তারা আরও বলেন, আদালতের রায় অমান্য করে কোনো ষড়যন্ত্র করা হলে, তা সফল হবে না। শিগগিরই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রাজপথে নেমে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
বিইউ/এইউ

