রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সাম্য হত্যার বিচার চাইলেন সারজিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২৫, ১০:৩৮ এএম

শেয়ার করুন:

সাম্য হত্যার বিচার চাইলেন সারজিস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার কঠোর বিচার এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত সাঁড়াশি অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বুধবার (১৪ মে) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এ দাবি জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


সারজিস লিখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদকসেবন, চাঁদাবাজি ও নানা অপরাধের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অথচ এই এলাকার আশপাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও অফিস রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এসব বাহিনী অপরাধ দমনে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং অনেক সময় এসবের অংশীদার হয়ে উঠছে।

তিনি আরও বলেন, এরই ফলশ্রুতিতে আমাদের তরুণরা বিপথে যাচ্ছে এবং প্রাণ হারাচ্ছে। সাম্য হত্যাকাণ্ড সেই ঘটনারই ধারাবাহিকতা।

সারজিস আলম এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত সাঁড়াশি অভিযান চালানোর এবং পুরো উদ্যান এলাকাকে নজরদারির আওতায় আনার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মাদক, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ যেকোনো অপরাধ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে উদ্যানের ভেতরে থাকা অপ্রয়োজনীয় কাঠামো ভেঙে প্রকৃতিনির্ভর ও নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা উচিত।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সাম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

তার সহপাঠী বায়েজীদ জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাম্য, বায়েজীদ এবং তাদের বন্ধু রাফি একটি মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা কালীমন্দির সংলগ্ন গেট দিয়ে বের হচ্ছিলেন।

এ সময় তাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি বাইকের ধাক্কা লাগে। ধাক্কার পর ওই বাইকের আরোহী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও ১০-১২ জন চারটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন।

তাদের সঙ্গে সাম্যদের কথা কাটাকাটি হয়, যা দ্রুত মারামারিতে রূপ নেয়। একপর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক জানান, সহপাঠীরা সাম্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার ডান পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর