সাবেক রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে সহায়তার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন ইবনে সিনা হাসপাতালের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান। একইসঙ্গে এসব অভিযোগ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি করেছেন অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান।
বিজ্ঞাপন
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে বিতর্কিত করার জন্য কিছু ভিত্তিহীন মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। যেখানে বলা হচ্ছে আমি সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের অনুমতির জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ‘ধরনা’ দিয়েছি। অথচ ড. ইউনূসের সঙ্গে কখনও আমার কথা বা দেখাও হয়নি, এমনকি তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্কও নেই।
চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডা. জেহাদ খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা এবং একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। যারা আমাকে অভিযুক্ত করছেন; তারা যদি এতটাই নিশ্চিত হন যে আমি এমন কিছু করেছি; তাহলে তাদের উচিত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ, সাক্ষাৎ, ফোনালাপ বা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা। আমি নিশ্চিত, তারা কখনোই এমন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারবেন না, কারণ এসব মিথ্যা অভিযোগ।
তিনি আরও বলেন, আমি কোনও রাষ্ট্রীয় পদে নেই, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমি শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এসব অপপ্রচার শুধুমাত্র আমাকে অপমানিত করার উদ্দেশ্যেই ছড়ানো হচ্ছে।
ডা. জেহাদ খান বলেন, এই ধরনের মিথ্যাচার আমাকে শুধু নয়, আমার পরিবার, সহকর্মী এবং দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জীবনের সুনামকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞাপন
ডা. জেহাদ খান তার পারিবারিক ইতিহাসও তুলে ধরেছেন, যেখানে তিনি জানিয়েছেন, আমি ১৯৮৮ সালে জামায়াতের রোকন ছিলাম, তবে এটি কখনও আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করেনি।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিকভাবে আব্দুল হামিদ আমাদের আত্মীয় হলেও, আমি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই এবং এমন কোনও সমর্থনও আমি কখনোই জানাইনি।
তিনি বলেন, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন শুধুমাত্র আমার বিরুদ্ধে নয়, বরং আমার পরিবারের, সহকর্মীদের এবং দীর্ঘদিনের চিকিৎসক জীবনের সুনামকে কলুষিত করার অপচেষ্টা। আমি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি এবং এসব অপপ্রচারকে প্রতিহত করব।
এসএইচ/এফএ

