সারাদেশে বইছে তাপপ্রবাহ। জেলা শহরগুলোতে তাপপ্রবাহের প্রভাব কম হলেও যানজটের শহর ঢাকায় এর প্রভাব ব্যাপক। যার ফলে অফিসগামী মানুষ, দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের জীবনে গরমের তীব্রতায় নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, অতি গরমের কারণে চিরচেনা ঢাকার রাস্তা দুপুরের সময় তুলনামূলক ফাঁকা থাকে। দিনমজুর, রিকশাচালক ছাড়া অন্য পেশার মানুষের উপস্থিতি রাস্তায় কম।
বিজ্ঞাপন
ধানমন্ডি ২৭-এর সিগনালে কথা হয় রিকশাচাকল রাকিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যে গরম পড়েছে, এতে রিকশা চালালে শ্বাস নেওয়া কষ্ট হয়, মাথা ঘোরে। পানি যত বেশি খাই না কেন, তা ঘাম হয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। ভাত খাওয়া না লাগলে এ গরমে রিকশা চালাতাম না।’
ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন সারোয়ার হোসেন। থাকেন জিগাতলায়। চায়ের দোকানে বসে চা পান করার সময় তার সঙ্গে গরম নিয়ে আলাপ হয় ঢাকা মেইলের।
তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে তিনবার বিদ্যুৎ গিয়েছে আমার বাসায়। এমনিতে গরম, তার উপর এভাবে বিদ্যুৎ যাওয়াতে ঘরে তো থাকতে পারছি না, আবার বাইরে এলে যে গরম, তাতেও হাসফাঁস লাগছে।’
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আজ মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঢাকায়। বাতাসের গতি ও দিক পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৪৪ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (১১মে) থেকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
চলমান তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে অস্থায়ী ভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এমএইচএইচ/এএইচ