রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৫০ ভাগ মহার্ঘ ভাতাসহ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ৫ দফা দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

৫০ ভাগ মহার্ঘ ভাতাসহ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ৫ দফা দাবি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণসহ নবম বেতন কমিশন গঠনসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ।

শনিবার (১০ মে ) সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের একাদশ জাতীয় সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। রাজধানীর বিএমএ ভবনে এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন গণকর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, WFTU/TUI Public Service এর প্রতিনিধিসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন দফতর-অধিদফতরের প্রায় সহস্রাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের অতিরিক্ত মহাসচিব মো. রোকনুজ্জামান এবং সহ-সভাপতি ফাহমিদা আক্তার ইলা।

আলোচনা সভায় মহাসচিব নোমানুজ্জামান আল আজাদ বলেন, সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের ৫ দফা কর্মচারীদের প্রাণের দাবি। অবিলম্বে এই দাবি পূরণ করা না হলে সারাদেশের সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।

দাবিসমূহ হলো— দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, ১০ ধাপে বেতন নির্ধারণসহ নবম বেতন কমিশন গঠন, সচিবালয়ের মতো পদবি পরিবর্তন, টাইমস্কেল সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন পুনর্বহাল, মূল বেতনের ২০ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান এবং পেনশন গ্রাচুইটির হার ১ টাকায় ৫০০ টাকা নির্ধারণসহ ৫ দফা।


বিজ্ঞাপন


প্রধান অতিথি এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, দেশে এখন একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কর্মচারীদের এই যৌক্তিক ৫ দফা দাবির জন্য আন্দোলন করতে হবে না। এই যৌক্তিক দাবি ইনশাল্লাহ আমি বেঁচে থাকলে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করব। 

তিনি আরও বলেন, কর্মচারীদের ঐক্যের বিকল্প নেই। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম; এখনও আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকেই সকল বৈষম্য প্রতিরোধ করব। এমনকি এই দেশের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো কালো আইন আমরা মেনে নেব না। যদি আইন করতেই হয় তাহলে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এ কে এম ইহসানুল হক, শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান এবং নির্বাহী পরিচালক (বিলস) সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমদ, TUI public Service ভাইস প্রেসিডেন্ট ভোলানাথ পোখরেল, CONEP, Nepal President Com. Punya Prasad Dhakal, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক চৌধুরী আশিকুল আলম, WFTU কোর্ডিনেটর (বাংলাদেশ) রাজেকুজ্জামান রতন, সভাপতি সৈয়দ সারোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত মহাসচিব বদরুল আলম সবুজ, মোহাম্মদ আজিম, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব কামাল হোসেন সিকদার, মোহাম্মদ আজিম কুতুব উদ্দীন সেলিম, সভাপতি এম এ আউয়ালসহ গণকর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিইউ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর