মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫, ঢাকা

শাহবাগে বাড়ছে মানুষের স্রোত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ মে ২০২৫, ০৮:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

S
শাহবাগে মানুষের স্রোত। ছবি- ঢাকা মেইল

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে মানুষের ঢল নেমেছে। সময়ের সঙ্গে বেড়ে চলেছে মানুষের স্রোত। শুধু রাজনৈতিক দল বা এবং সংগঠন নয়, সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন সব শ্রেণি-প্রেশার মানুষ। 

শুক্রবার বিকেল থেকে সারা রাতই আন্দোলনকারীদের স্লোগানে মুখর ছিল শাহবাগ। শনিবার সকাল থেকে লোক সমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকাল গড়াতেই জনস্রোত নামে। 


বিজ্ঞাপন


শনিবার সন্ধায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দিক থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সময় যত গড়াচ্ছে, ভিড়ও তত বাড়ছে। 

এই জমায়েতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইনকিলাব মঞ্চ, এবি পার্টি, লেবার পার্টি, আপ-বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, খেলাফত মজলিশ, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্রশিবির, ইসলামি ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জুলাই মঞ্চসহ অসংখ্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছে।

S2
শাহবাগে মানুষের স্রোত। ছবি- ঢাকা মেইল

সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা জমায়েত করে স্লোগান দিচ্ছেন। স্লোগানের মধ্যে রয়েছে— ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আজাদি না গোলামি, আজাদি-আজাদি’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘মুজিববাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি।


বিজ্ঞাপন


এর আগে বিকেলে পূর্বঘোষিত গণজমায়েতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি। আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশি শক্তি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। ২০১৩ সালে শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে, এই শাহবাগ থেকেই ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত, পথ আলাদা হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত, পথ এক। নমরুদের যেভাবে পতন হয়, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও পতন হয়।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘শহীদের মায়েদের চেয়ে আমাদের কষ্ট বেশি না। খুনি হাসিনার বিচার হবে, শাপলার বিচার হবে, পিলখানার বিচার হবে, জুলাইয়ের বিচারও হবে। আমার কণ্ঠস্বর থামলেও এই লাখো জনতার কণ্ঠস্বর যেন না থামে।’

টিএই/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর