আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। যা বর্তমানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের বান্যারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার জোয়ারে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) থেকে রাজধানীর শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। শাহবাগের বাইরে অন্য সড়ক বা মহাসড়কে ব্লকেড পালন না করতে আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে অনুরোধ উপেক্ষা করেই শ্যামলীতে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেছে ছাত্র-জনতা। এতে ব্যাপক জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে মহাসড়কে।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েতে জামায়াত ইসলাম, ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, শ্যামলীতে ব্যারিকেড দিয়ে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেছে ছাত্র-জনতা। এতে দূরপাল্লার পরিবহনও থমকে দাঁড়িয়েছে। দেখা দিয়েছে যানজট। বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
যাত্রীরা বলছেন, এই দাবির সঙ্গে আমরাও একমত। তবে দুর্ভোগ যেন সাধারণ মানুষের বিরক্তির কারণ না হয় সে দিকেও লক্ষ রাখা উচিত। আর সরকারের উচিত এক্ষেত্রে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ জনতা মিরপুর, বাড্ডা, রামপুরা এলাকায় ব্লকেড করে। অবশ্য প্রশাসনের অনুরোধে পরবর্তীতে তারা সরে দাঁড়ান। এরপরই শাহবাগের বাইরে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দুইবার ফেসবুক পোস্ট দেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ দুপুরেও ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ব্লকেড হবে না।’
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত। বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি সেই সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ অবরোধের ডাক দেন। এরপর হাজারো মানুষ মিছিলসহ শাহবাগে এসে জড়ো হন এবং বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মূল সড়কে বসে পড়েন। স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
এমআই/এফএ