মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ বলেছেন, দবিশ্বব্যাপী যৌন হয়রানির বহু ঘটনা রিপোর্টই হয় না। তাই আমাদের জাতীয় ও শ্রম আইনের মধ্যে সমন্বয় রেখে কর্মীদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার এ বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। এক্ষেত্রে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুমোদন কোনো জটিল প্রক্রিয়া নয়।’
বিজ্ঞাপন
ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লেবার ইউনিয়নের (টিইউআইএলএস) আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হওয়া এক জাতীয় ত্রিপাক্ষিক সংলাপে এসব কথা বলেন উপদষ্টা।
এতে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি রোধে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ‘আইএলও’ এর কনভেনশন ১৯০ অনুমোদনের জন্য সরকারের প্রতি জরুরি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংলাপে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নিয়োগকর্তা প্রতিনিধিগণ, সিভিল সোসাইটি এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আ হ ম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘২০০৯ সালে হাইকোর্ট রায় দিলেও আজও আমরা আইন প্রণয়নের অপেক্ষায়। আমরা এখন আইএলও কনভেনশন ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ অনুমোদনের লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সব কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নিচ্ছি।’
বিজ্ঞাপন
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুতিয়ানিন বলেন, ‘কনভেনশন ১৯০ অনুমোদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু শ্রমিক সুরক্ষায় অগ্রগতি প্রদর্শন করবে না, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দায়িত্বশীল বিনিয়োগ এবং টেকসইতার প্রতীক হয়ে উঠবে।’
টিইউ আইএলএস কমিটির আহ্বায়ক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, ‘এই সংলাপটি সময়োপযোগী। আমরা বিশ্বাস করি এটি একটি সম্মিলিত পদক্ষেপ যা সকল কর্মীর জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।’
অনুষ্ঠানে আইএলওর আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ড বিশেষজ্ঞ এলেনা গেরাসিমোভা এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাসুকুর রহমান সিকদার গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা তুলে ধরেন। যেখানে আইনগত প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনার দিকগুলো বিশ্লেষণ করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় সি-১৯০ অনুমোদনের পথে জাতীয় আইন ও কাঠামোতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, কর্মী ও নিয়োগকর্তা সংগঠনগুলোর ভূমিকা এবং একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
বিইউ/এএইচ