বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ঢাকা

ব্র্যাক ব্যাংকসহ দুই প্রতিষ্ঠানের এনআইডি যাচাই সুবিধা স্থগিত করেছে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

তদন্তে আটকে আছে ২২ হাজার প্রবাসীর এনআইডি আবেদন

নাগরিকের তথ্য ফাঁস হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের এনআইডি যাচাইয়ের লিংক সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (০৭ মে) ইসির এনআইডি অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


বিজ্ঞাপন


আশরাফ হোসেন বলেন, আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ব্রাক ব্যাংক এনআইডি যাচাইয়ের জন্য যে লিংক ব্যবহার করে সেখানে আমরা একটি ব্যাকডোর পেয়েছি যা দিয়ে নাগরিকের তথ্য ফাঁস হতে পারতো। এজন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের এনআইডি যাচাইয়ের লিংকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি।

ইসির আইসিটি শাখার কর্মকর্তা বলেন, আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ব্র্যাক ব্যাংকের সার্ভার যাচাইয়ের জন্য পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে ইসি সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার রফিকুল নেতৃত্বে ইসলামের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সার্ভার যাচাই করবে। আর ব্র্যাক ব্যাংকের সার্ভার যাচাই করবে সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি।

ইসি কর্মকর্তা জানান, এনআইডি’র ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি ১৮৬টি প্রতিষ্ঠান নাগরিকদের বিভিন্ন ধরণের সেবা দিয়ে থাকে, যাদেরকে আমরা সার্ভিস পার্টনার বলি। এদের মধ্যে ব্যাংক, বীমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল অপারেটর, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে।

তিনি জানান, তথ্য যাচাই করতে এসব প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে চুক্তি করে নেয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবাগ্রহীতার এনআইডি’র তথ্য নিশ্চিতে করতে প্রতিষ্ঠানগুলো ইসির সার্ভার থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবার তথ্য যাচাইয়ে দুই টাকা আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবার তথ্য যাচাইয়ে পাঁচ টাকা করে ফি দিয়ে থাকে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন - সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাপপ্রবাহ!

জানা যায়, এ তথ্য যাচাইয়ের জন্য ইসি একটি নির্দিষ্ট লিংক প্রদান করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। যার মাধ্যমে তারা ইসির এনআইডি তথ্য ভান্ডার থেকে এনআইডি নম্বর দিয়ে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠালে সংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবিসহ এনআইডিতে প্রদর্শিত তথ্যগুলো চলে আসে। আর এই সুযোগেই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে।

২০২৩ সালের ৬ জুলাই আমেরিকান ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁস হয় এমনটি দাবি করলে ইসি তা অস্বীকার করে বলে সার্ভারে কোনো ক্রুটি নেই। একই সঙ্গে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়। পরবর্তীতে তারা সার্ভিস পার্টনারদের দিক থেকে তথ্য ফাঁসের বিষয়টির সত্যতা পায়।

এরপর চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি ইসি সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস।

এসব প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, বিষয়টি ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে ততটুকু প্রয়োজন কি-না তা খতিয়ে দেখা হবে।

এমএইচএইচ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর