বাসায় ঢুকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে কলাবাগান থানার ওসি ও দুই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওসি মোক্তারুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল উদ্দিন ও মান্নান।
রোববার (৪ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে বিষয়টি আসলে কি ঘটেছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলাবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াদুদের বাসায় গত ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে যান কলাবাগান থানা পুলিশ। পরে তারা তার কাছে চাঁদাবাজির অর্থ আদায় করেন। পাশাপাশি সেই বাসায় ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াদুদ ডিএমপির কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেন। গত ২ মে অভিযোগের কপিতে তিনি এসব কথা উল্লেখ করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ওসি ও দুই এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই কপিতে ভুক্তভোগী বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেই বাসায় একটি মবের ঘটনা ঘটেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু ওসি সেই ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, সেই বাসায় আওয়ামী লীগের লোকজন যাতায়াত করতেন। বিষয়টি জেনে স্থানীয়রা বাসা ঘেরাও করে পরে ওসি গিয়ে বাড়ির মালিককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। যা ভুক্তভোগী অভিযোগপত্রে তুলে ধরেছেন।
তবে ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভিযোগকারী ব্যক্তির বাসায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতায়াত করতেন। তাই তার বাসায় স্থানীয় লোকজন ও কলাবাগান থানার পুলিশ গিয়েছিল। স্থানীয় লোকজন বাসায় ভাঙচুর চালান। কলাবাগান থানার ওসি ওই বাসার মালিককে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/এফএ