সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার উল্লাসে মেতেছে রাজধানীর প্রকৃতি!

মাহাবুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২০ এএম

শেয়ার করুন:

রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার উল্লাসে মেতেছে রাজধানীর প্রকৃতি!
ঢাকার প্রকৃতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে। ছবি: ঢাকা মেইল

পত্র-পল্লব নিয়ে চোখ ধাঁধানো লাল টকটকে উজ্জ্বল ফুলে বর্ণিল মায়াবি রূপের প্রকাশ ঘটাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছ। তিলোত্তমা নগরী ঢাকার এমন রূপের মূর্ছনা পথের ক্লান্তি নিমিষেই ম্লান করে দিচ্ছে সৌন্দর্যপিপাসুদের। মনের অজান্তেই প্রাকৃতির সৌন্দর্যের বন্দনায় মেতে উঠছেন অনেকেই। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উল্লাস দেখে হাসছে জারুলও। প্রশংসায় পঞ্চমুখ পথচারীরাও।

রাজধানী ঢাকার বুকজুড়ে নান্দনিক সৌন্দর্যের আলপনা এঁকে সগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজার হাজার কৃষ্ণচূড়া গাছ। তবে জিয়া উদ্যান ও তার আশেপাশের এলাকা, হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য সবাইকেই আকৃষ্ট করছে ভিন্ন আবহে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ঢাকার বিশ্রাম দরকার, কিন্তু কেন

শুধু কৃষ্ণচূড়ায় নয়; ঋতু পরিবর্তনে গ্রীষ্মের সব ফুল সৌন্দর্য বিলাচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতিতে। কোথাও টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া, কোথাও কমলা রঙের রাধাচূড়া। কোথাও আবার ছেয়ে আছে স্নিগ্ধ বেগুনি রঙের জারুল। পথ চলতে থমকে দাঁড়িয়ে এসব ফুলের দিকে আবেগমাখা চাহুনিও বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠছে। রুদ্ররূপের বিপরীতে এক কোমল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে হৃদয়ে। যেখানে জমছে আড্ডা-গল্প ও প্রেম।

জিয়া উদ্যানের সামনের সড়কে বন্ধুদের নিয়ে ছবি তুলছিলেন তামিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে অনেক সুযোগ পেলেই আসি। এখানে অন্য রকম স্বস্তি পাওয়া যায়। অনেক বিশাল আর সুন্দর এরিয়া। আর গ্রীষ্মে ফুলে ফুলে ভরপুর হয়ে যে রূপ ধারণ করে, তা সত্যি মোহময়।’

Rajdhani2


বিজ্ঞাপন


শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকার রাস্তা গতকালকেও বিরক্তিকরই মনে হচ্ছিল। আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই আবহাওয়া ঠান্ডা। এরমধ্যে আবার বৃষ্টি। আগে একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে এসেছি। কিন্তু কৃষ্ণচূড়া-জারুল ফুলগুলো দেখেছি। কিন্তু প্রশান্তির জায়গাটা অতটাও ছিল না। আজ সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম পূর্ণতা পেয়েছে।’

আরও পড়ুন

‘নির্বিচারে গাছ কাটলে প্রকৃতি কীভাবে প্রতিশোধ নেয় তা দেখিয়ে দিয়েছে’

মতিঝিল থেকে উত্তরা পর্যন্ত যাতায়াতে মেট্রোরেলের যাত্রীরা নগর প্রকৃতিকে ভিন্নভাবেই উপভোগ করছেন। সময় খুবই স্বল্প হলেও নগর রূপ দর্শনে ভিন্নমাত্রা যুক্ত করছে মেট্রোরেল। এই গণপরিবহনের সুবাদে দৃষ্টির সমান্তরালে অনেক দূর পর্যন্ত  ফুল দেখা যায়। যদিও ফুলের সুঘ্রাণ ও ছুঁয়ে দেখার সাধ মিটবে না এখানে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বদরুদ্দোজা বলেন, ‘প্রতিদিনই মিরপুর-১০ থেকে মতিঝিলে আসা-যাওয়া করি। বেশির ভাগ সময় মেট্রোরেলেই যাতায়াত করতে হচ্ছে। যাতায়াতের সময় রাজধানীকে ভিন্নরূপে আবিষ্কার করা যায়। এটা রোমাঞ্চকর।’

এমআই/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর