জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী গ্রেফতার হয়েছেন। সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে তাকে। তবে কারাবন্দি এই পুলিশের স্বজনদের দাবি, ঘটনার দিন ৫ আগস্ট তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
পরিবারের দাবি, বিগত সরকারে পতন এবং সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনার আগের দিন ৪ আগস্ট দিবাগত রাত হতে ঘটনার পরদিন ৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি তার বাসভবন ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তাই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত কাফীর সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতের বিচারের দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার শাশুড়ি হাছিনা আক্তার স্বপ্না।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশের একটি দল বিমানবন্দর থেকে পুলিশ কর্মকর্তা কাফীকে আটক করে। এর আগে সরকারি পরিচয় লুকিয়ে তিনি সাধারণ নাগরিক হিসেবে নতুন পাসপোর্টও তৈরি করেন বলে অভিযোগ আছে। তখন থেকেই কারাবন্দি কাফীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে। এমন অবস্থার মধ্যে তার স্বজনদের পক্ষ থেকে এই দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বরখাস্ত হওয়া কাফীর শাশুড়ি দাবি করেন, গত ৪ আগস্ট দিবাগত রাত হতে ৬ আগস্ট পর্যন্ত তিনি তার বাসভবনে ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থান করেন, যা তার ব্যবহৃত মোবাইল সিডিআর পর্যালোচনা করলেই পাওয়া যাবে।
আন্দোলনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তার অংশগ্রহণের কোনো সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, ভিডিও বা স্থিরচিত্র নেই যে অভিযুক্ত আসামি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইউনিট প্রধানরাই সব কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তিনি কোনো ইউনিট প্রধানের দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন না। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। যাতে আমরা পারিবারিকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত, মানহানিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিচারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিইউ/জেবি

