সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়া ‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ দেশের সকল প্রধান ঘাঁটি, বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটে আয়োজন করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


মহড়ার উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর বৈমানিকরা আকাশ যুদ্ধের বিভিন্ন প্রকার রণকৌশল অনুসরণ করে যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে আক্রমণ, শত্রুবিমান শনাক্তকরণ, আকাশ থেকে শত্রু কবলিত স্থান পর্যবেক্ষণ, রসদ সরবরাহ, সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র স্থানান্তর, স্পেশাল অপারেশন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারসহ সকল ধরনের অপারেশন পরিচালনা করছে।AF3

আইএসপিআর জানিয়েছে, মহড়ার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান রোববার এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার (এসিওসি), এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার (এডিওসি), বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার, বিমান বাহিনী ঘাঁটি এ কে খন্দকার, বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে বিভিন্ন প্রকার বিমানের মহড়া এবং অন্যান্য অপারেশনাল ও মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

‘আকাশ বিজয়-২০২৫’ বিমান বাহিনীর সকল প্রধান ঘাঁটিসহ সিলেট, লালমনিরহাট, শমশেরনগর, বগুড়া, বরিশাল, রসুলপুর ও সুধারামে অবস্থিত বিভিন্ন স্টেশন ও ইউনিটগুলো থেকে সারা বাংলাদেশে গত ২৩ এপ্রিল থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহড়া চলবে।

AF2


বিজ্ঞাপন


এ মহড়ায় বিমান বাহিনীর সকল প্রকার যুদ্ধ ও পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ইউনিট, রাডার ইউনিট, মিসাইল ইউনিট এবং আনম্যান্ড এরিয়াল সিস্টেম ইউনিট সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করছে। এই মহড়ায় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন র‌্যাডার স্কোয়াড্রনের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের আক্রমণকে চিহ্নিত করে নিজ বাহিনীর যুদ্ধ বিমান ও মিসাইল ইউনিটের সহায়তায় ওই আক্রমণকে প্রতিহত করার কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, আকাশ যুদ্ধ ছাড়াও ভূমিতে ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট সকল কৌশল অনুশীলন করা হচ্ছে। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ও কমান্ডো দল কর্তৃক কমব্যাট সার্চ অ্যান্ড রেস্কিউ (সিএসএআর) অপারেশন, পরিবহন বিমান দ্বারা জরুরি রসদ স্থানান্তর, বিমান বাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহায়তায় বোমা অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণের কার্যক্ষমতা যাচাই এবং স্ক্র্যাম্বলের মাধ্যমে আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী শত্রু বিমানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে এয়ার ডিফেন্স অ্যালার্ট (এডিএ)-এ কর্তব্যরত যুদ্ধ বিমানকে ব্যবহার করা, ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি এবং সময় সংবেদনশীল টার্গেটে আক্রমণ ইত্যাদি অনুশীলন করা হচ্ছে।

AF4

এ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শক্তিমত্তা যাচাই এবং বিদ্যমান সমরাস্ত্রের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে এর দুর্বল দিকগুলো নির্ণয় করে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করা হবে। এ সকল গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আরও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।

এমআইকে/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর