প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক প্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চলতি এপ্রিল মাসেও। এই মাসের প্রথম ২১ দিনেই প্রায় দুই বিলিয়ন রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মাসিক হিসেবে যার প্রবৃদ্ধি ৪০ শতাংশেরও বেশি।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানিয়েছে, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ হাজার ৯৮৫ টাকা। সে হিসেবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স আসছে ৯ কোটি ডলারেরও বেশি প্রবাসী আয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, হুন্ডির দূরত্ব কমেছে বন্ধ হয়েছে অর্থপাচার। তাছাড়া খোলা বাজার এবং ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারে একই রকম দাম পাচ্ছেন প্রবাসীরা। আর এসব কারণে বৈধ পথে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে বাড়ছে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ একইভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
এর আগে, সদ্য বিদায়ী মাস মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৩.২৯ বিলিয়ন (৩২৯ কোটি ডলার) ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ১০.৬১ কোটি ডলার বা ১২৯৫ কোটি টাকা করে।
তথ্য বলছে, গত বছরের মার্চের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৭১ বিলিয়ন বা ১৭১ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সদ্য বিদায়ী মার্চে ১৫৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৭০৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৪৭০ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের গত মার্চে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সের মাইলফলক অতিক্রম করে। মাসটিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৩৯ কোটি ডলার।
তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার ও মার্চে সব রেকর্ড ভেঙে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা ৭ মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। যার প্রভাবেই চাঙা রয়েছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ।
টিএই/এমএইচটি

