বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

র‌্যাব পরিচয় দিয়ে অপহরণ, ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

র‌্যাব পরিচয় দিয়ে অপহরণ, ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার

অপহরণের ১২ ঘন্টার পর অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব। এসময় অস্ত্র-মাদকসহ সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আশিকুর রহমান (২৯) শাহ মো. দোজাহান (২২), মিঠুন (১৮),  হাবিবুর রহমান (২৭) ও শরিফুল ইসলাম (৩২)। 


বিজ্ঞাপন


সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন সাগুপ্তা হাউজিং লিঃ নিঝুম সমিতির প্লট এর কাশবনে এবং মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া  এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভুক্তভোগীসহ   ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ১টি গুলি, ৯৮ পিস ইয়াবা, র‍্যাব জ্যাকেট, সেনা আইডি কার্ড, ভুয়া র‍্যাব আইডি কার্ড, র‍্যাব লোগো সম্বলিত স্টিকার, র‍্যাব মনোগ্রামযুক্ত মাক্স উদ্ধার করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ৪ এর কর্মকর্তা (অপারেশন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজিদুল ইসলাম।  

তিনি জানান, ঘটনার দিন সাটুরিয়ার সাফুল্লী স্কুল মাঠে ফুটবল খেলা শেষে বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সাটুরিয়ার ইনাম ক্লাব এর সামনে পৌঁছামাত্র র‌্যাবের জ্যাকেট ও র‌্যাবের লোগো সম্বলিত মাস্ক পরিহিত অবস্থায় কতিপয় ব্যক্তি র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ভিকটিম মো. রানা আহমেদকে (১৯) পথরোধ করে ও তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে তাকে মাদক পাচারকারি হিসেবে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে দশটায় অপহরণকারী দলের এক সদস্য অপহৃতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে তার পিতার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। আর এই টাকা না দিলে তার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রয় করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। 

অপহরণের শিকার যুবকের বাবা মুক্তিপনের ১৫ লাখ টাকা কমানোর জন্য বার বার অনুরোধ করলে শেষ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকায় রাজি হয়। এই টাকা নিয়ে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর বাবাকে মিরপুর-১ গোল চত্তর এলাকায় আসতে বলে। এসময় আগে থেকে ঘটনাস্থলে থাকা র‌্যাব সদস্যরা শরিফুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 


বিজ্ঞাপন


তিনি জানান, এই অপহরণকারীর মূল হোতা আশেকুর রহমান। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। তারা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। ভিকটিমের বাবা এলাকার চাল ব্যবসায়ী। অপহৃত যুবকের পরিবার তুলনামূলকভাবে অর্থশালী হওয়ায় প্রতিবেশী মো. শরিফুল ইসলাম এবং হাবিবুর রহমানের পরিকল্পনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাকিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এ ঘটনা ঘটায়।‌

এমআইকে/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর