শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

‘ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী হওয়ার চেষ্টা করলে পরিণতি হাসিনার মতো হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img
ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি ছিল এবারের প্রধান আকর্ষণ। ছবি: ঢাকা মেইল

বাংলা বর্ষবরণের বর্ণিল আয়োজন আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে। শোভাযাত্রা আর্কষণীয় করে তুলতে রাখা হয়েছিল সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক প্রতিকৃতি ও নানা ধরনের মোটিফ।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল নয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি চারুকলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল মোড় ঘুরে দোয়েল চত্বর হয়ে চারুকলায় এসে শেষ হয়।


বিজ্ঞাপন


শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। আনন্দ শোভাযাত্রার পুরো সময়ে সঙ্গী ছিল ঘোড়া, ছোট, বড় ও মাঝারি নানা ধরনের মোটিফ। শোভাযাত্রা শেষে মোটিফগুলো যেখান থেকে তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে রাখা হয়। মোটিফগুলো দেখতে ভিড় নামে উৎসুক জনতার। সেখানের শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক প্রতিকৃতি দেখে উপস্থিত জনতা বলেন, ‘আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আপন নীড়ে ফিরে গেছে শেখ হাসিনা অর্থাৎ শেখ হাসিনার ভিত্তি রচনা করা হয়েছে ফ্যাসিবাদের ওপর। আবার ফ্যাসিবাদ নিয়ে ফিরে গেছেন। মাঝখান থেকে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছে বাংলাদেশকে।’

HASINA

আবার কেউ কেউ বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতে ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ লেগে আছে। যেখান থেকে ফ্যাসিবাদের জন্ম, সেখানে ফিরে গেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হওয়ার সুযোগ নেই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ হলো সার্বজনীন উৎসব। পাহাড় থেকে সমতল, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে এই উৎসব পালন করি। আর এবারের পহেলা বৈশাখ অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিন্ন। এবার ফ্যাসিবাদে মুখাকৃতি থেকে শুরু করে শান্তির প্রতীক পায়রাসহ সকল কিছুর সংমিশ্রণ রয়েছে। ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসনামল কত ভয়াবহ এবং দুঃসহ।’


বিজ্ঞাপন


এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘মুখাকৃতির দিকে তাকালে দেখা যায় রাক্ষসী ভাব রয়েছে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা বাস্তবে যে রাক্ষস ছিলেন, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার রক্ত শোষণের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। সেটি সম্ভব হয়নি, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে। ভবিষ্যতে কোনো শাসক যেন ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার চেষ্টা নাম করে। যারা ফ্যাসিবাদী হবে, তাদের পরিণতি হাসিনার মতো করুণ হবে।’

Hasina2

আরেক শিক্ষার্থী শরিফুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। এটি ফ্যাসিবাদী শাসনামলের পর প্রথম পহেলা বৈশাখ। কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসন চায় না।’

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ নিয়ে আপন নীড়ে ফিরে গেছেন শেখ হাসিনা, বাংলাদেশে তার আর জায়গা হবে না। মানুষ কখনোই ফ্যাসিবাদকে প্রশ্রয় দেবে না। যেভাবে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ নিয়ে আপন নীড়ে ফিরে গেছেন, ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী হওয়ার চেষ্টা করলে তারও পরিণতি শেখ হাসিনার মতো হবে।’

এসএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন