ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ সময়ে কোণঠাসা ছিল ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। পহেলা বৈশাখের মতো সার্বজনীন আয়োজনেও অংশ নিতে পারেনি তারা। তবে এবারের পহেলা বৈশাখে তাদের ব্যতিক্রমী অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ বরণ করে নিতে ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ রাজধানী ঢাকায় ‘বাঙলা নবযাত্রা ১৪৩২’ নামে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মুক্তাঙ্গন থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। এটি শিল্পকলা হয়ে আবারও টিএসসির দিকে যায়।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনটির পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন জাতীয় মৎস্য ভবন সড়কে। ‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই উৎসবে রয়েছে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শোভাযাত্রা, মেজবান এবং কবিতা-সংগীত-কথার এক মিলনমেলা।
দুপুর ১২টায় আয়োজন করা হয় ‘বাঙলা মেজবান’ যেখানে ভাত-গরু-মিষ্টান্নসহ ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য (শুভেচ্ছা মূল্যে)। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ‘বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব’, যেখানে সংগীত, কবিতা ও কথন পরিবেশন করবেন দেশজুড়ে খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় উৎসবটি আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি মুহিব খান। আরও উপস্থিত থাকবেন দেশের শতাধিক জনপ্রিয় শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বরেণ্য আলেম চিন্তাবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীগণ।
বিজ্ঞাপন
আয়োজকরা বলছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘসময় ইসলামী সংগঠনগুলো তাদের সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামগুলো ঠিকমতো আয়োজন করতে পারেনি। এবার ফ্যাসিবাদমুক্ত স্বাধীন পরিবেশে স্বাভাবিক ভাবে বাংলা নববর্ষ পালন করছেন তারা।
এদিকে, রাজধানীর শাহবাগে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট। দুপুর থেকেই বিভিন্ন ইসলামী সংস্কৃতি প্রদর্শন করছেন তারা।
টিএই/এমএইচটি