নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের পোস্টারিংয়ে ছেয়ে যায় গ্রাম থেকে শহরের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি, দেওয়াল। যার ফলে নষ্ট হয় সৌন্দর্য। এবার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় নির্বাচন কমিশন। সাংবাদিকদের সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
শুধু তাই নয়, নির্বাচনে যেন গ্রামীণ পর্যায়েও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকে, সবাই যেন নির্বিঘ্নে যার যার প্রচার চালাতে পারেন সেভাবেই আচরণবিধি করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশও সেরকম। সে অনুযায়ী আচরণবিধির খসড়া প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা প্রায় চূড়ান্ত।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (০৭ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
এর আগে তার নেতৃত্বাধীন- সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আচরণ বিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত। আশা করি চমৎকার আচরণবিধি হবে।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আচরণ বিধিমালার খসড়া করার জন্য বসেছিলাম। প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। চূড়ান্ত করে কমিশনে প্লেস করব৷ এরপর কমিশন চূড়ান্ত করবে। সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করব। আশা করি চমৎকার আচরণবিধি হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনি ব্যয় ন্যূনতম রেখে যাতে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয় গ্রামীণ পর্যায়ে, একেবারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার প্রচারণা করতে পারে, সে ধরনের একটা মনোভাব নিয়ে করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে আরপিও যেখানে সংশোধন করার প্রযোজন হবে সেখানে সংশোধন করা হবে।
পোস্টার কি রাখতে চাচ্ছেন না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এরকমই। সে প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়টিও আছে। গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলোও ভাবছি।
নির্বাচনে কঠোর ইসির কঠোর অবস্থান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করব। দুইশ টাকা, পাঁচশ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা চলছে৷ আচরণ বিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন স্থগিতের বিষয়টি সামনে আনলে তিনি বলেন, দল নিবন্ধনের যে বিজ্ঞপ্তি এতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামে একটি রিট করেছে। এটা শুধু তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। দু'একটি দল আবেদন করেছে। এখন ২০ এপ্রিলে মধ্যে যদি অনেক দল আবেদন করে তাহলে এক রকম হবে৷ তবে ২০ তারিখ আসলে বোঝা যাবে সময় বাড়ানো হবে কি না৷ একটি দল আবেদন করেছে। আমাদের ধারণা ২০ এপ্রিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল আবেদন করার জন্য প্রস্তুত। বর্তমান আইন অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এজন্য অংশীজনদের সঙ্গেও বসব।
সীমানা নির্ধারণের আইন সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা নির্ধারণের প্রস্তাবটা আমরা পেয়েছিলাম। অনুমোদন এখনো কেবিনেট থেকে পাইনি। না পেলে বিদ্যমান আইনেই হবে।
এমএইচএইচ/ইএ