বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের শিকার মাগুরার সেই শিশুটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। চিকিৎসার ভাষায় বর্তমানে জিসিএস (কোমায়) লেভেল-৩ এ আছে শিশুটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, মাগুরায় শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন; আজ আরও দু’বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে; দ্বিতীয় বার প্রায় ৩০ মিনিট সিপিআর দেওয়ার পর রিভার্স করেছে। ব্রেন ফাংশন করছে না; জিসিএস (কোমা) লেভেল ৩। রক্ত চাপ ও অক্সিজেন লেভেল অনেক কম।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয় শিশুটির এবং সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। শিশুটির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়, মাগুরার শিশুটির চার বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়েছে। পরে সিপিআর প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে।
শিশুটির জন্য দেশবাসীর নিকট দোয়া চেয়ে সেনাবাহিনীর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, ‘মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), ঢাকায় শিশু বিভাগের পিআইসিইউতে (Pediatric Intensive Care Unit) চিকিৎসাধীন । প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং তদনুযায়ী সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুটি আজ চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (Cardiac Arrest) এর শিকার হয়েছে এবং সিপিআর (CPR) প্রদানের মাধ্যমে স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ যা আরও নিম্নমুখী।’
বিজ্ঞাপন
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ছয়টায় শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি হয়।
বিইউ/এমআর