রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংগ্রহকে কেন্দ্র করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা। জরুরি বিভাগে সেবা বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ৯ মার্চ হাসপাতালে রক্ত সংগ্রহকে কেন্দ্র করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে আবার আজ বেলা ১২টার দিকে মারামারিতে জড়ায় দুই পক্ষ। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. আবুল কেনান ঢাকা মেইলকে বলেন, এখন পরিবেশ শান্ত। হাসপাতালের কর্মচারীদের প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে বিকেলে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সমস্যা সমাধান হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের সব কার্যক্রম চালু রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংগ্রহকে কেন্দ্র করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে একটি উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরই রেশ ধরে আজ এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা উভয় পক্ষকে বলেছি, পরবর্তীতে যাতে এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান বলেন, ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্টাফদের গন্ডগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।
বিজ্ঞাপন
এসএইচ/এফএ