দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী সপ্তাহে নতুন একটি আইন পাস করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায় সেটা ত্বরান্বিত করার জন্য একটা বিশেষ আইন খুব শিগগিরই করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আপনারা এই আইনটা দেখবেন।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
প্রেস সচিব বলেন, টাকাটা ফেরত আনার প্রচেষ্টা কতদূর এগোল, সেটার ওপর আজ একটা বড় মিটিং হয়। মিটিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। সেই মিটিংয়ে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রচুর ল ফার্মের সঙ্গে সরকার ও টাস্কফোর্স কথা বলছে। ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করতে এ আইনটা সাহায্য করবে। ২০০টা ল ফার্মের সঙ্গে আমরা অলরেডি কথা বলেছি। তবে এখনো সিলেকশন হয়নি। একটা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিলেকশন হবে। ৩০টার মতো ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তিতে যাব। সেটা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে।
নতুন আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন একটা আইন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী সপ্তাহে নতুন আইনটি পাস হবে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফোকাস ছিল, পাচার করা টাকা কীভাবে আনা যায়। সেজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ১১ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর। পাচারের অর্থ ফেরাতে টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এই তালিকায় প্রথমেই আছেন শেখ হাসিনা ও তার পরিবার। পাচারকারীরা নানাভাবে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। একজনের ছেলের টিউশন ফি বাবদ এক সেমিস্টারেই ৫০০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে টাস্কফোর্স।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, হংকং, কেমান দীপপুঞ্জে হাসিনা ও তার পরিবারের লোকজনের সম্পদ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি।
পাঠ্যপুস্তক বিতরণে বিলম্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯৭ ভাগ বই ছাপা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বই ছাপানো ও বিতরণ সম্ভব হবে।’
বিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।
এমএইচটি