ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-এর প্রতীক ‘আম’ কার হবে তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতীক নিয়ে ঝামেলার কারণে দুই পক্ষের শুনানি শেষ করেছে সংস্থাটি। রোববার (৯ মার্চ) ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ এমন তথ্য জানান।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, দুই পক্ষের শুনানি নেওয়া শেষ হয়েছে। এখন কমিশন আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিজ্ঞাপন
আজ এনপিপি’র বহিষ্কৃত নেতা ফরিদুজ্জামান ফরহাদ’র শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আজকে আমাদের দলীয় প্রতীক নিয়ে শুনানি ছিল। ২০০৭ সালে আমাদের দল গঠন করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে আমরা আম প্রতীক পাই। জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকার কারণে আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম। তখনকার নির্বাচন কমিশনার আমাদের আম প্রতীক না দিয়ে নিলু সাহেবকে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আম প্রতীক দেওয়ার কারণে আমরা ইসিতে দরখাস্ত করেছিলাম। কারণ তখন শেখ হাসিনার সঙ্গে আমরা যাইনি তার আজ্ঞাবহও হনি। শওকত হোসেন নিলু ফ্যাসিস্টের সঙ্গে ছিলেন; তাই তখন ন্যায় বিচার পাইনি। আশা করছি এখন ন্যায় বিচার পাবো। কোর্টে আমরা গিয়েছিলাম, কোর্ট অর্ডার দিয়েছেন এটা ন্যায়সঙ্গত করার জন্য। শুনানি ছিল আমরা সব কিছু বলেছি, আশা করছি আমরা আম প্রতীক পাবো। কমিশন সব কিছু শুনেছে এবং বলেছে; আমাদের কথাগুলো বাস্তব সম্মত, কমিশনও ন্যায় বিচার করবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসির শুনানিতে অংশ নিয়ে এনপিপি (নিলু) চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ২০০৭ সালের ১৯ জুলাই এনপিপির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর আবেদনের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে ‘আম’ প্রতীকে দলটিকে নিবন্ধন দেয় কমিশন। ২০১৪ সালের ১৬ আগস্ট দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৎকালীন মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে মহাসচিব পদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি। তার বিরুদ্ধে তারেক রহমানের পক্ষে পোস্টারে প্রচার চালানোর অভিযোগ আনা হয়। এর বছর খানেক পর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ইসির কাছে ‘আম’ প্রতীকটি নিজেদের বলে দাবি করেন। পরে ২০১৬ সালের মে মাসে শুনানি করে নিলুর হাতেই ‘আম’ প্রতীক তুলে দেয় ইসি।এর মাঝে নিলু মারা গেলে দলটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শেখ ছালাউদ্দিন ছালু।
বিজ্ঞাপন
এমএইচএইচ/এফএ