সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস ফোরামের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:২৫ এএম

শেয়ার করুন:

নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস ফোরামের দোয়া ও ইফতার মাহফিল

নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস ফোরামের আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) ইফতার মাহফিলে ৩৬ জুলাই আন্দোলন পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ ২.০ গঠনের প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জের বিষয়ে স্বল্প পরিসরে আলোচনা এবং মত বিনিময় করা হয়।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার, বিডিআর হত্যায় শহীদ পরিবার, গুম হত্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং স্বৈরাচার আমলে বঞ্চিত ও চাকরিচ্যুত অফিসার বৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাসান নাসির (অবসরপ্রাপ্ত)।

অনুষ্ঠানে ৫০ এর অধিক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর- নুরুল ইসলাম বুলবুল, মহিউদ্দিন এবি নাইম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার এম. সারোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম রনি, সম্পাদক, জবান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ফকিহ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সামরিক ও বেসামরিক সকলে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয়, সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে এই সরকারকে ব্যর্থ করার যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সংগঠিত সকল গুম, হত্যা ও গণহত্যাসহ সকল অপরাধের ন্যায়বিচার দাবি করেন। একইসঙ্গে প্রস্তাবিত সকল সংস্কার সম্পন্ন শেষে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও সকলে উল্লেখিত সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পেশাদার ও যুগোপযোগী করার জন্য পৃথকভাবে একটি প্রতিরক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে মতামত ব্যক্ত করেন।

দোয়া এবং মোনাজাতে সকলে ৩৬ জুলাই পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।

এআইএম/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর