শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি, করব না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ০৮:৪২ এএম

শেয়ার করুন:

অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি, করব না: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের জন্য সংসদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।  

বুধবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জন সংসদ সদস্য দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট আলোচনা শেষে সংসদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


স্পিকার বলেন, পদ্মা নদীর মত খরস্রোতা নদীর ওপর ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু আজ দেশের বাস্তবতা, অহংকার। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। যা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে গতি সৃষ্টি করবে। এর ফলে জিডিপিতে ১.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় সিদ্ধান্ত দেশীয় অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। বঙ্গবন্ধুর সেই অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন আজ তার কন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়ে প্রতীয়মান হয়েছে। পদ্মা সেতু একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই কৃতিত্বের দাবিদার। তাই জাতীয় সংসদ তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে। এর পরে স্পিকার এটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের মাথা নিচু হবে এমন কোনো কাজ আমি কখনো করবো না। পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, এটা বাস্তবতা। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না। এই দেশকে আমরা ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি। ক্ষমতা আমার কাছে বড় কিছু না, ক্ষমতা আমার কাছে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ সেটাই করে যাচ্ছি।

পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের বিষয়ে শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটা এমডি পদের জন্য একজন দেশের এতো বড় ক্ষতি কিভাবে করে? যেসমস্ত ইমেইল দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের কাছে সব সেন্ড করা আছে। এই যে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা। আমরা বিশ্ব ব্যাংকের দোষ দিচ্ছি। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দিয়ে করানো হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট তার শেষ কর্মদিবসে সেদিন সে এটা সাক্ষর করে বন্ধ করে দিয়ে গেছে টাকা। তার পর চাপ আসলে অমুককে গ্রেফতার করতে হবে অমুককে গ্রেফতার করতে হবে তাহলে টাকা দেবে। আমি বলেছি আমার কোনো অফিসারকে বা আমার কাউকে আমি অপমান করতে দেব না। সেসময় যোগাযোগ মন্ত্রীকে অপসারণ মোশাররফকে তো গ্রেফতার করেই দিলো।

তিনি বলেন, আমি জানি কোনো টাকা ছাড় হয়নি দুর্নীতিটা কোথায় করা হলো। আমি চাচ্ছি একটা কাগজও দিতে পারেনি। তারপর আসল অমুককে গ্রেফতার করলে টাকা দেবে এধরণের প্রস্তাবে আমি বললাম পদ্মা সেতু আমি করব না। যে দিন নিজের টাকায় করতে পারব সেই দিন করব কিন্তু আমার দেশকে অপমান করে টাকা নিয়ে করতে হবে আমাকে ভয় দেখায় যদি এটা না হয় আপনার নির্বাচনের কি হবে জনগণ ভোট দেবে না ক্ষমতায় আসব না। ২০০১ সালে আমেরিকার চাপে গ্যাস বিক্রি না করলে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। তখন আমি ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়েছিল সে ক্ষমতায় এসেছিল। এটা তো চোখের সামনে আমার। সে মুচলেকা দিয়ে গেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে কি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, একটা মানসিক যন্ত্রণা আমার পরিবারের উপরে। আমার মেয়েটাকে আমার ছেলে আমার বোন তাদের উপর যে মানসিক চাপ। জয়কে নিয়ে যখন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে তোমার মাকে বল তোমার বিরুদ্ধে অডিট হবে। তখন বলেছে কর তবে আমি আমার মাকে এটা বলতে পারবে না। আমার বিরুদ্ধে যত তদন্ত আছে করতে পারো আমি এখানে কোনো অন্যায় করিনি। কাকে না তারা চাপ দিয়েছে। এই রকম অবস্থায় আমি কিন্তু জেলে যায়নি। আমার সততাটাই হচ্ছে আমার শক্তি আর বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগণকে অপমান করে আমি কোনো কিছু করব এটা না। আমি জানি এই একটা সিদ্ধান্ত যখনই সেতু নির্মাণ শুরু করে দিলাম তখনই সকলের টনক নড়ল তখন বাংলাদেশকে সবাই সমীহ করতে শুরু করল হ্যাঁ বাংলাদেশ পারে। জাতির পিতা বলেছিল কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারবে না। তো কেউ আমাদের দাবায়া রাখতে পারে নাই পারবেও না ইনশাল্লাহ। এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।

সরকার প্রধান বলেন, এখনো সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে। ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বাজেট দিচ্ছি। বাজেটও ঠিকমতো দেবো তবে সবাইকে কিচ্ছতা সাধন করতে বলব। এক ইঞ্চি জমি যেন না পড়ে থাকে। খাবারের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হেবে। আমেরিকা ইউরোপে প্রত্যেক দেশে মন্দা। সবাইকে মিতব্যায়ী হতে হেবে সাশ্রয়ী হবে। পদ্মা সেতু আমাদের আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে টেকনোলজি সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষতে আরও উন্নত কাজ করতে পারব। বাংলাদেশে যে নিজেরা পারে এই ধারণাটা এটাই বাংলাদেশের মর্যাদা সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করেছে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা। আমাদের একটা খারাপ সময় গেছে। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায়আছি বলে উন্নয়ন করতে পেরেছি উন্নয়নও করতে পারলাম।

দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন বলেছি নিজের টাকায় করব এদেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে। এখনও আমার কাছে চেক আছে যে যা পেরেছে দিয়ে গেছে আমি চেকগুলো ভাঙাইনি। রেখে দিয়েছি। কারণ আমরা তো টাকা জোগাড় করে শুরু করে দিয়েছি আমি তো পারব করতে। আমরা নিজেদের অর্থায়নে করেছি। কেন দাম বেড়েছে। এটা সেটা নানা কথা বলে মেগা প্রজেক্ট কেন করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ প্রফেসর তাদের মুখ থেকে এসব কথা শুনলে কেমন লাগে। কি মানসিকতা এদের। কত হীনমন্যতায় ভোগে এরা। জানি তারা কনসালটেন্সি পাবে এই তো? আর তো কিছু না। অথবা ইউনূস যদি কিছুটা উচ্ছিষ্ট বিলায়। ড. ইউনূস তার একটা এমডি পদের লোভে সে বিশ্ব ব্যাংককে দিয়ে হিলারি ক্লিনটিনকে দিয়ে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করিয়েছিল। তারা ভেবেছিল আমরা এখানে সারেন্ডার করবে আমি শেখ মুজিবের মেয়ে এটা মনে রাখবেন। এই দেশের মানুষ যেন গরীব না থাক, দরিদ্র না থাকে। কোনো মানুষ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না। দেশবাসীর সমর্থন বড় শক্তি।

প্রস্তাবের ওপর প্রথমে আলোচনা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তারপর একে একে আলোচনা করেন— প্রবীণ সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, জাসদ (একাংশের) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ চন্দ, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ইকবাল হোসেন অপু, জাতীয় পার্টির সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলঅম মাহম্মুদ, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ফখরুল ইমাম, বিএনপির রুমিন ফারহানা, বেগম রওশন আরা মান্নান, নজিবুল বশর মাইজ ভা-ারী, ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুণ, মৃণাল কান্তি দাস, প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা, ইকবাল হোসেন অপু, পীর ফজলুর রহমান প্রমুখ।

প্রস্তাবে বলা হয়- বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেদিয়েছেন। পদ্মা সেতুর সড়ক ও রেল সংযোগের কারণে প্রথমবারের মত সমগ্র দেশ একটি সমন্বিত যোগাযোগ কাঠামোর আওতায় চলে আসবে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় সামগ্রিকভাবে দেশের জিডিপি বাড়বে প্রতি বছর অন্তত ১.২৩ শতাংশ। বিগত এক দশকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতিসঞ্চালিত হবে এবং এর ফলে দক্ষিণাঞ্চল আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি। সকল প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের অতুলনীয় নিদর্শন। পদ্মা সেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় আজ এক সোনালী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। জাতির পিতা শেখ মুজিব বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে সংগ্রাম করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ সেই অর্থনৈতিক মুক্তির এক অনন্য সোপান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার সাহসী ও দৃঢ়চেতানেতৃত্ব, মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা এবং জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ার জন্য জাতীয় সংসদে বিশেষআলোচনার মাধ্যমে জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হোক।

ধন্যবাদ প্রস্তাবের সুচনায় আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে এ সেতু না করতে দেবার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করতে চেয়েও দুর্নীতি হয়েছে মন্তব্য করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে যায়। কিন্তু ক্যানাডিয়ান কোর্ট পরিস্কার করে বলে এ সেতু নিয়ে কোন দুর্নীতি হয়নি। যেসব অভিযোগ জানান হয়েছে তা সব মনগড়া ভিত্তিহীন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের মর্যাদার প্রতীক, অপমানের প্রতিশোধের প্রতীক। বিশ্ব ব্যাংক গোটা জাতিকে অপমান করেছে। বিএনপি ও তাদের দোষরা পদ্মা সেতু করতে না দিতে বিশ্ব ব্যাংককে দুর্নীতি হয়েছে বলে বোঝায়। তারা অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে এ পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এটি আত্ম মর্যাদার প্রশ্ন। তিনি এটিকে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু বলে দেশবাসী তাকে চিরকাল মনে রাখবে বলে মন্তব্য করেন। 

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম উল্লেখ না করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আইনের কাছে তিনি বেআইনি কাজ করায় হেরে গিয়ে এতটাই ক্ষুব্ধ হন যে, শেখ হাসিনার সরকার, ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তার পরিবার, তার বোন শেখ রেহানা এমনকি সরকার পক্ষের যিনি আইনজীবী ছিলেন, তার প্রতিও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, কিছু মহলের প্রতিহিংসা পরায়ণতা এখনও প্রশমিত হয়নি।

তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন আছে- সীমিত আয়ের একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হয়েও ড. ইউনূস বিশাল অঙ্কের অর্থ ‘ক্লিনটন অনুদান’ হিসেবে দিলেন কীভাবে? এ রকম আরও বহু প্রশ্ন রয়েছে। সেই সব প্রশ্নের জবাবও নিশ্চয়ই একদিন পাওয়া যাবে।
পরে প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সংসদে পাশ হয়ে যায়।

টিএ/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর