জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে নাকি স্থানীয় নির্বাচন তা নিয়ে ইসি বিতর্কে যেতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘কক্সবাজার জেলায় ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করলেও জামায়াতসহ কিছু দল আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর এমন বিতর্কের মধ্যে কোন পথে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিতর্কে আমরা যেতে চাই না। আপাতত নির্বাচন কমিশনের প্রথম লক্ষ্য একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ। ১৬ লাখ মৃত ভোটার আছে। তাদের বাদ দিতে হবে।’
নির্বাচন কমিশন সকলকে নিয়ে ৯১, ৯৬ ও ২০০১ এর মতো নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাকি স্থানীয় সরকার নির্বাচন; রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিতর্কে আমরা (নির্বাচন কমিশন) যেতে চাই না। আপাতত নির্বাচন কমিশনের প্রথম লক্ষ্য একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে সবার সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বিজ্ঞাপন
বর্তমান প্রশাসনে যারা আছেন তারা ৯১, ৯৬ ও ২০০১ এর নির্বাচন করেছেন মন্তব্য করে নাসির উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো অন্যায় চাপ দেবে না, কোনো অন্যায় সিদ্ধান্ত দেবে না।’
এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের আইন অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা এবং পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দুটো ডেটলাইন দিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে বা বড় রিফর্ম হলো জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এতে মৃত ভোটার, নতুন ভোটারের সংখ্যা বাড়বে। আগামী নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা জুন নাগাদ পাওয়া যাবে।’
সভায় পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, সকল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআর