গত বছরের জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যারা নিহত হয়েছেন তারা ‘জুলাই শহীদ’ এবং যারা আহত হয়েছেন তারা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
বিজ্ঞাপন
উপদেষ্টা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে সনদ ও পরিচয়পত্র পাবে নিহতদের পরিবার। যারা আহত হয়েছেন, তারা ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে তারা পরিচয়পত্র পাবেন এবং অন্যান্য সরকারি সুবিধাদি পাবেন। আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন । তারপর তারা ভাতাও পাবেন।
আহতদের তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ক্যাটাগরি করছে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচিত সরকার আসবে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়ে। তারা নিশ্চয় এই অধিদফতরের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
জুলাই অধিদফতরের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই সপ্তাহে অধিদফতর হয়ে যাবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা গত ১৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত হয়েছে জানিয়ে ফারুক ই আজম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আহতদের তালিকা ক্যাটাগরিজ করা হচ্ছে। তালিকাটা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আসা মাত্র তাৎক্ষণিক আমরা গেজেট প্রকাশ করব। সুতরাং এখানে নতুন করে ঢোকানো বা বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। শুরুর দিকে যারা আহত ছিলেন, অসুস্থ হয়ে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের অনেকে ডকুমেন্টস রাখেননি বা সংগ্রহ করেননি। এমনদেরও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) পুনর্গঠন করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সে অনুযায়ী জেলায় জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হবে। সেখান থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী সময়ে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
জেবি