শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘আন্দোলনে সুস্থ ছিলেন, আদালতে আসলেই অসুস্থ বলেন আসামিরা’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

সাবেক অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামালের একান্ত সচিবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় অসুস্থ ছিলেন কিন্তু তাদের গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে আসার পর নিজেদের অসুস্থ বলে দাবি করেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌশলি (পিপি) ফারুকী বলেন, ছাত্রদের হত্যার মামলায় আসামিরা যখন কোর্টে আসে তাদের অসুস্থতা, ক্যানসার, বয়স্ক, এটা নাই, সেটা নাই অনেক কিছু হয়ে যায়। জুলাই আন্দোলনের সময় এমন জোরে জোরে বক্তব্য দিয়েছেন, তখন মনে হয়নি তিনি অসুস্থ। আন্দোলনে যখন ছিলেন, তখন কোনো অসুস্থতা ছিল না; তখন সুস্থ ছিলেন।

পিপি বলেন, আমাদের এই ধরনের সম্পদ দরকার নাই, যে সম্পদ অবৈধ, যে সম্পদ মানুষের রক্ত চুষে তৈরি করা হয়েছে। যে সম্পদ স্বৈরশাসনের মাধ্যমে অর্জন করা হয়েছে, সেই সম্পদ আমাদের দরকার নাই। তারা কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার করেছে। শেখ হাসিনা যে ধরনের স্বৈরশাসন করেছে, আমরা চাই তার আমূল পরিবর্তন। আমরা অল্প খাব, হালাল খাব, হালাল পড়ব, হালাল উপার্জন করব। আমরা নজরুলের মত উদ্যোক্তা চাই না, যারা মানুষের রক্ত চুষে খায়। সেই ধরনের উদ্যোক্তা আমাদের দরকার নাই। এই আন্দোলনে ২ হাজার মানুষ মারা গেছে। যারা গুলি করেছে তাদের যেমন শাস্তি, আর যারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়িত তাদেরও তেমন শাস্তি। এখন তো মাত্র শুরু হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত অর্ধেক মামলা করতে পারি নাই, আরও বাকি আছে।

এদিন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে ধানমণ্ডি ও যাত্রাবাড়ী থানার দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

অপরদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।


বিজ্ঞাপন


এদিন শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লক্ষ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে। তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নাই। সে কোনো রাজনৈতিকদলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেল-হাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে। তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায় নাই। তার শারীরিক যে অবস্থা, রিমান্ডে নেওয়ার মত কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন। তখন তিনি বলেন, আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে... আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে। আমারও সেই অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।

এআইএম/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর