দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রয়োজন বিবেচনায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, দেশে এখনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
নাসিমুল গনি বলেন, আগে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকতেন। এখন তারা বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। দেশের আইনশৃঙ্খলার প্রয়োজন বিবেচনায় এই অভিযান চলবে। তারা ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার কাজে লাগাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, মানবাধিকার এবং পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে কীভাবে আইন প্রয়োগ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, এজন্য আগামী মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কর্মশালা করা হবে। যারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের এই নাজুক অবস্থায় তাদের দিয়ে এই অপারেশন চলবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে সেখানে পরাজিত শক্তিকে কেউ রাখেনি। এই সরকার অতটা অমানবিক হতে পারেনি। আমরা পুলিশকে রিফর্ম করেছি। পুলিশের কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। এজন্য তাদের অ্যাকটিভলি কাউন্সেলিং করছি।
ডেভিল হান্টের তাৎপর্য কি, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিমুল গনি বলেন, প্রতিটি অপারেশনের একটি কোড নেম হয়। এই অপারেশনকে ফোকাস করার জন্য।
ডেভিল হান্ট অপারেশন যারা পরিচালনা করছে তাদের ক্ষমতা কতটুকু? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেটের যে ক্ষমতা আছে সেই ক্ষমতাই পাবে।
ডেভিল হান্টে কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি না, জানতে চাইলে নাসিমুল গনি বলেন, তারা গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। চট করে সবকিছু বলা যাবে না। যতদিন প্রয়োজন হয় ততদিন এই অপারেশন রাখা হবে।
উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে গতকাল থেকে সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান শুরু হয়।
এমআর