শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নিরাপত্তা পেতে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ইতি চান সাংবাদিকরা

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ এএম

শেয়ার করুন:

নিরাপত্তা পেতে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ইতি চান সাংবাদিকরা

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বললেও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কাটেনি। তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে বিচারহীনতার দীর্ঘ সংস্কৃতির ইতি চান সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা নতুন কিছু নয়। যুগ যুগ ধরে সাংবাদিকরা হামলাকারীদের ‘সহজ টার্গেট’ হিসেবে বিবেচিত। তবে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত বছরের আট আগস্ট বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নতুন সরকারের তরফ থেকে একাধিকার বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে সাংবাদিকরা সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এমনকি বিগত সরকারের সময়ে সাংবাদিকদের উপর যে হামলা নির্যাতন হয়েছিল, সেগুলোর বিচারের কথাও শোনা গিয়েছিল।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা

পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা থামছে না৷।গত বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মমালায় হাইকোর্টের রায়ের পর এই হামলা চালান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতার।

তিনি বলেন, আমার উপর হামলার মূল কারণ ঈশ্বরদীর একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে না চেনা। তাকে আমি কেন চিনি না, এই কারণে তারা ২০-২৫ জন আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমি বর্তমানে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


বিজ্ঞাপন


6
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ঈশ্বরদী থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আখতার।

সেই ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলেও জানিয়েছেন আখতার।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমি কোন মামলা করিনি। তারেক রহমান আমাকে ফোন করেছেন এই কারণে নয়, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের সংস্কৃতি নেই। উল্টো আমাকেই নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে।

গত সোমবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের এক সংবাদ প্রকাশের জেরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হামলার শিকার হয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুজনকে গুরুতর আহত করেন। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে নিউজ টুয়েন্টি ফোর টেলিভিশন ও জাগো নিউজের প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, দেশ টিভির সাইফুল ইসলাম আকাশ ও সময়ের কণ্ঠস্বর প্রতিনিধি নয়ন দাসের উপর হামলা চালায় তারা। পরে সুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সোহাগ খান সুজন।

আহত সোহাগ খান সুজন বলেন, যে রিপোর্টের কারণে এই হামলা, সেই রিপোর্ট কিন্তু আমার পত্রিকা সমকালে ছাপা হয়নি। তারপরও তারা আমাকে টার্গেট করে হামলা করেছে।

সেই ঘটনায় স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসায়ীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

7
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হামলার শিকার হন দৈনিক সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন

সুজন বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলো এই ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা কৌশলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলছেন ও বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা যথেষ্ট চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিরা গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের ধরতে একটু সময় লাগছে।

শুধু ঢাকা আর শরীয়তপুর নয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকালে পেশাগত কাজে যাওয়ার পথে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গণশ্যামপুর এলাকায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন, আব্দুল মালেক নীরব ও ফয়সাল মাহমুদের ওপর মুখোশধারীরা হামলা চালায়। একপর্যায়ে তাদেরকে গুলি করলে তা লক্ষ্যচ্যুত হয়। ফলে তারা প্রাণে রক্ষা পান। পেশাগত কাজ করার সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেখানে মানববন্ধন হয়েছে।

এমনকি ঢাকার পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার শেষ দিনে ৩১ জানুয়ারি যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন জয়ের উপর হামলা হয়। এই ঘটনায় তিনি ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এই হামলার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেন।

ভোলার লালমোহনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার লালমোহন উপজেলা প্রতিনিধি নাইমুল ইসলাম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভোলা শহরে তাবলীগ জামায়াতের জোবায়ের সমর্থিত ওলামা মাসায়েখ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাদবিরোধী সমাবেশ চলাকালে ২৫ ডিসেম্বর স্বেচ্ছাসেবীদের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি ইউনুছ শরীফ।

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদারীপুরে ৩ সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে মাদারীপুরে শহরের কুলপদ্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে৷ আহত সাংবাদিকরা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি বেলাল রিজভী, বাংলাদেশ টুডের জেলা প্রতিনিধি এমদাদ খান এবং দৈনিক দেশকালের সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন জুয়েল।

এই ঘটনাগুলো ছাড়াও সম্প্রতি আরও কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত জুলাইয়ে শেখ হাসিনা সরকারবিরোধী ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন।

5
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ঈশ্বরদী থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং বর্জনের পাশাপাশি অ্যানেক্স চত্বরে বসে পড়েন সাংবাদিকরা

‘সরকারের আশ্বাসেও হামলা বন্ধ হচ্ছে না’

সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদক ও আমার দেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মাহমুদা ডলি বলেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এগুলো বন্ধ হচ্ছে না। যদিও এখন সাংবাদিকরা কিন্তু স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন। নিউজ বন্ধ করতে বিশেষ জায়গা থেকে কোনো ফোন আসে না।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন শুধু এই সময়ে নয়, বিগত সময়েও সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা হয়েছে তিনি তার বিচারের ব্যবস্থা করবেন। এরজন্য একটু সময় লাগবে। তিনি আমাদের সহযোগিতাও চেয়েছেন। আইন উপদেষ্টা বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা হয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সাংবাদিকদের নাম বাদ দেওয়া হবে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক খবর।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, পুলিশ বা প্রশাসন যদি ঠিকভাবে কাজ না করে সেটা কিন্তু সংবাদ মাধ্যমেই তুলে ধরা হয়। রাজনৈতিক দল, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনসহ সবাই নিজেদের মতো করে দেশ চালাতে চায়। এই পরিস্থিতির মধ্যে সাংবাদিকরাই দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন। তখন তারা টার্গেটে পরিণত হন। গণতন্ত্র সঠিকভাবে চললে সাংবাদিকতাও স্বাধীন থাকতে হয়। আমরা আশা করতে চাই গত ১৫ বছরে মিডিয়ার ওপর যেভাবে দমন পীড়ন চালানো হয়েছে সেখান থেকে সরে এসে বর্তমান সরকার সাংবাদিকতাকে স্বাধীন ও মুক্তভাবে চলার সুযোগ দেবেন।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদক ও দেশ রুপান্তর পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাপসী রাবেয়া আঁখি বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই সাংবাদিকরা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। আমরা দেখছি, এখনও সাংবাদিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আশা করব, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন। তিনি বলেন, এখন সাংবাদিকদের ওপর যে হামলার ঘটনা ঘটছে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য না। সরকারের উচিত হবে দ্রুত এসব হামলাকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। বিগত সরকারের আমলে যেটা হয়েছে, সেটা তো এই সরকারের সময় চলতে পারে না।

সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)’ তাদের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশে ৪ জন সাংবাদিক আটক হয়েছেন। এই চার সাংবাদিককেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থক হিসেবে দেখা হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে এসব আটকের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে লেখা হয়েছে, যেসব সাংবাদিকের প্রতিবেদনকে হাসিনাপন্থী হিসেবে দেখা হয়েছে, তাদের অনেকেই পরে অপরাধমূলক তদন্তের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। কারাবন্দি সাংবাদিকদের সংখ্যার ভিত্তিতে সিপিজের করা র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ১৪তম স্থানে রয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর হিসাবে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৩৬৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। হত্যার শিকার হয়েছেন দুইজন। এ ছাড়া ৫৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন।

দীর্ঘদিনের সমস্যা, সমাধান কোথায়?

গত বছরের মে মাসে ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)’-এর ‘প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থা আফগানিস্তানের চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এই সূচকে বিশ্বের গণমাধ্যমের অবস্থা যে ২০টি দেশে সবচেয়ে খারাপ তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান।

আরএসএফের বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল আজারবাইজান, নিকারাগুয়া ও রাশিয়া৷ ২০০৯ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২১ তম। সেই বিবেচনায় ১৫ বছর পর ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৪ ধাপ অবনতি হয়ে হয়েছে ১৬৫তম৷ একমাত্র ২০১৬ সাল ছাড়া প্রতি বছরই বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)-এর হিসাবে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৩৬৫ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। হত্যার শিকার হয়েছেন দুইজন। এ ছাড়া ৫৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন।

আর আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলছে, ২০২৩ সালে ২৯০ সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, আমরা সব সরকারের সময়ই সহজ টার্গেটে পরিণত হই। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব হামলার বিচার দাবি করেছি। আমরা চাই, আজ থেকে আর একজন সাংবাদিকও হামলা বা মামলার শিকার হবে না সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘোষণা দেওয়া হোক। সূত্র: ডয়চে ভেলে

/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর