কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন তার স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার। সদরের কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি। ছয় জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সেটিকে মামলা হিসেবে আমলে নেয়া হয় বলে জানান কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন— সদর উপজেলার পান্ডানগর এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম, ইটাল্লা এলাকার তানজিল উদ্দিন, নাজমুল হাসান টিটু, খায়রুল হাসান মাহফুজ, সাইদুল ইসলাম সবুজ এবং বামইল এলাকার সোহেল।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিবাদীরা জায়গা-জমির বিরোধের জেরে আক্রোশান্বিত হয়ে পরস্পরের যোগসাজশে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক রেখে মারধর করে হত্যা করে।’
এর আগে, গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে তৌহিদুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ন্যায় বিচারের বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিক। সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত বলেও জানায় তৌহিদুলের পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়ে হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করে ‘উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি’ গঠনের কথা জানিয়েছিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর বা আইএসপিআর।
বিজ্ঞাপন
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন নিহত তৌহিদুল ইসলামকে শুক্রবার পুলিশ অসুস্থ অবস্থায় পেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেছি। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। এখন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পাওয়া যাবে।’
নিহত তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এমএইচটি

