নির্বাচন সংস্কারে প্রায় ১৫০টি সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিকেলে সংসদ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ইসি সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।
সংস্কার কমিশনের প্রধান জানান, ১৬টি ক্ষেত্র প্রায় ১৫০টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
যেসব সংস্কার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—
- ২ বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না।
- কোনো দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।
- বিরোধী দলের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার দিতে হবে।
- রাষ্ট্রপতি হবে নির্দলীয়।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন দেওয়া।
- ২০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হবে।
- দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যেন কেউ রাষ্ট্রপতি না হন।
- একই সঙ্গে কেউ যেন প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান না হন।
- সংসদের উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক ভিত্তিতে।
- উচ্চকক্ষের অর্ধেক সদস্য হবেন দলীয়, বাকি অর্ধেক হবেন নির্দলীয়। নির্দলীয় সদস্যদেরও রাজনৈতিক দলগুলোই মনোনয়ন দেবে। কিন্তু সেখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
- সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ হবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে।
- সংসদের আসন ১০০টি বাড়ানো। এরমধ্যে এক চতুর্থাংশ নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা এবং এগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচন করা। যার মাধ্যমে নারীরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন।
- দল নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য এবং সুনামসম্পন্ন ব্যক্তি যাতে রাষ্ট্রপতি হতে পারেন সেজন্য নির্দলীয় রাষ্ট্রপতি সুপারিশ করা হয়েছে। একটি বৃহত্তর নির্বাচক মণ্ডলীর দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। এই নির্বাচক মণ্ডলী হবে সংসদ সদস্যগণ এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ।
এমএইচটি