ডিজিটাল ভূমিসেবায় দায়িত্ব প্রাপ্তরা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত না হলে তারা শাস্তির আওতায় আসবেন বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ। তিনি বলেছেন, সেবা যথাযথভাবে প্রদানের নিমিত্তে ভূমি সহকারীদের প্রতি বেশি নির্ভরশীলতা পরিহার করতে হবে। ভূমি সেবা গতিশীল করতে পর্যায়ক্রমে সেবা প্রদানকারী সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। প্রতি জেলার অন্তত তিন জনকে মাস্টার ট্রেইনার করে গড়ে তোলা হবে যাতে করে তারা জেলার অন্যদের প্রশিক্ষিত করতে পারে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁও ভূমি ভবনের সভাকক্ষে ভূমি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ভূমি সংক্রান্ত সমন্বিত সব সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্তে গৃহীত ‘অটোমেশন প্রকল্পে’র সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সিনিয়র সচিব বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় জনগণের সেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বদ্ধপরিকর। জনগণের সেবায় স্বচ্ছতা, সততা, এবং নিষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে। ভূমি সেবা প্রদানে আন্তরিক ও যত্নশীল হতে হবে এবং সেবার মান উন্নয়নে সচেষ্ট থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন তিনি।
ভূমি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ভূমি সংক্রান্ত সমন্বিত সব সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার নিমিত্তে এই অটোমেশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনলাইনে যুক্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সেবার মান বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের পরামর্শ উল্লেখ করেন। তারা জানান, ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের ফলে দিনে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ হাজার আবেদন জমা পড়ছে এবং আবেদন নিষ্পত্তির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা সর্বোচ্চ নিষ্ঠার সাথে আবেদন নিষ্পত্তি করছেন। দ্রুততম সময় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিদ্যমান সফটওয়ারগুলো আপগ্রেড করা হয়েছে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন জেলার কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত থেকে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বিইউ/এমএইচটি