গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে রাতের আঁধারে হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারী আরেক নেতা নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। তার নাম শফিউল্লাহ। তিনি হত্যা মামলার ১০ নাম্বার আসামি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে তাকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, টঙ্গী পশ্চিম থানার পুলিশ শরীয়তপুর সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় শফিউল্লাহকে গ্রেফতার করে। তাকে এখন টঙ্গী পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, শরীয়তপুর পালং থানার স্টেডিয়াম রোড এলাকা থেকে তাকে শনিবার রাত সোয়া ৯টায় গ্রেফতার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
শফিউল্লাহ (৪৬) শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ডগরী তালুকদার বাড়ি গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি রাজধানীর মুগদা বড় মসজিদের খতিব ও সাদপন্থীদের নেতা।
বিজ্ঞাপন
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে সাদপন্থীরা আলমি শুরার সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর ও বগুড়া জেলার তিন ব্যক্তি নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এর আগে এই মামলায় মুয়াজ বিন নূর এবং জিয়া বিন কাসেম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যারা সাদপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত।
জেবি