বিভিন্ন সময় বন্দি হওয়া জেলেদের বিনিময় করছে বাংলাদেশ ও ভারত। বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় আগামীকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) ভারত থেকে দেশে দেশে ফিরবেন ৯০ জন জেলে। একই দিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে যাবে ৯৫ জেলে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে এই খবর দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালেই ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে হলদিয়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পারাদীপ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৭৮ জনকে। বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তাদের তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আনন্দবাজার লিখেছে, অন্যদিকে, বাংলাদেশে বন্দি থাকা ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে এ দেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেবে ঢাকা। বন্দি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের অধিকাংশই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এবং নামখানার বাসিন্দা।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সোমবার গঙ্গাসাগরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই সময় গঙ্গাসাগরে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
খবরে বলা হয়, প্রায় আড়াই মাস আগে বাংলাদেশের জলসীমার ভেতর ঢুকে পড়ায় কাকদ্বীপের ছয়টি ট্রলার আটক করে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলারগুলোতে ছিলেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। তাদের গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ওই ৯৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক ছয়টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি জানার পরেই তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যেরা কেমন আছেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়।
আনন্দবাজার জানায়, অন্যদিকে, ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জেবি