৪৩তম বিসিএসের দ্বিতীয় গেজেট থেকে বাদ পড়া ক্যাডার কর্মকর্তারা ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদেরকে পুনরায় গেজেটভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। এসময় ১৫ জানুয়ারি সকল ক্যাডারদের সাথে যোগদানের নিশ্চিতেরও দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে কেনো বা কোন শর্ত সাপেক্ষে তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে সুস্পষ্ট বক্তব্যের পাশাপাশি এর প্রতিকারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাডার গেজেট বঞ্চিত মো. রায়হান ভূঁইয়া বলেন, কেন বাদ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন তাও স্পষ্ট করেনি, নানাভাবে সরকারের বিভিন্ন স্তর থেকে জানতে চেয়েও কোনো সাড়া পাইনি। সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশা রাখি।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
মাসুমা আক্তার বলেন, দীর্ঘ ৪ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অপেক্ষা শেষে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ সততা ও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক ২১৬৩ জন ২৬টি ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। পরবর্তীতে সুপারিশ প্রাপ্তদের কয়েক দফায় তদন্ত সাপেক্ষে দীর্ঘ ১০ মাস পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রথমে ২৮ অক্টোবর তারপর পিছিয়ে ১ জানুয়ারি যোগদান হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, যোগদানের নির্দেশনা মোতাবেক উদ্দীপনা ও আনন্দের সঙ্গে আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং আমাদের বহু সহকর্মী পূর্ববর্তী চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। এমনকি সুপারিশ প্রাপ্তির পরবর্তী সময়ে আমাদের অনেকেই সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একাধিক চাকরির সুযোগ লাভ করলেও যোগদান করেননি।
মাসুমা আক্তার আরও বলেন, দ্বিতীয়বার প্রকাশিত গেজেটে ১৬৮ জনসহ সর্বমোট ২২২ জন প্রার্থী গেজেট থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে অধিকাংশ প্রার্থী চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যায়; ২২২ জন প্রার্থী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবার সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন, চরম হতাশাগ্রস্ত এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
অবিলম্বে যথাযথ প্রক্রিয়ায় গেজেটে অন্তর্ভুক্তি ও যোগদানের বিষয়ে নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন মাসুমা।
উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য প্রথম দফায় যাদের প্রজ্ঞাপনভুক্ত করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ১৬৮ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন
৪৩তম বিসিএসের নতুন প্রজ্ঞাপন, বাদ পড়েছেন ১৬৮ জন
গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রথম দফায় ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপনে দিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন যাদের বাদ দেওয়া হয়েছিল, এর মধ্যে ৪৫ জন স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর বাকি ৫৪ জন বাদ পড়েছিলেন। আর প্রথম প্রজ্ঞাপন থেকে কাটছাঁট করে আরও ১৬৮ জনকে বাদ দিয়ে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে এই বিসিএসে সব মিলিয়ে মোট ২২২ জন উত্তীর্ণ হয়ে পিএসসির সুপারিশ পেয়েও বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
/এফএ

