রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এবার জনপ্রশাসন সংস্কার ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ সভায় আমলারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

এবার জনপ্রশাসন সংস্কার ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ সভায় আমলারা

সচিবালয়ে শোডাউনের পর এবার জনপ্রশাসন সংস্কারকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করে দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ সভা করছেন আমলারা। এতে যোগ দিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের বর্তমান ও সাবেক বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা। বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিবাদ সভায় যুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বেলা ১১টায় এই প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। 


বিজ্ঞাপন


বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে এই প্রতিবাদ সভায় প্রশাসন ক্যাডারের চাকরিরত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি অবসরে যাওয়া এই ক্যাডারের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন। 

এমনকি প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন এতে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার সভায় উপস্থিত রয়েছেন।

আরও পড়ুন

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ সূচনা বক্তব্যে বলেন, গত ১৫-১৭ বছর ধরে জনপ্রশাসনের বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার দলীয় আচরণের কারণে আমাদের ইমেজ সংকটজনক অবস্থায় চলে গিয়েছিল। দেশের কতিপয় কর্মকর্তার কারণে যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে সেখান থেকে উত্তরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিব এবং ঢাকার ডিসির সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সভা করবে জানিয়ে আনোয়ার উল্ল্যাহ আরও বলেন, মতামত নিতে আমরা আপনাদের এখানে ডেকেছি। আপনাদের মতামতের আলোকে আমরা সংস্কার কমিশনে গিয়ে কথা বলব।

গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।

এদিকে উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি এবং পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

এর আগে, সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত রোববার সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের চার শতাধিক কর্মকর্তা।

বিইউ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর