১৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকার তিন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে এসব আগুনের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় একটি রেস্তোরাঁয়, বনশ্রীতে একটি ভবন এবং বনানীর একটি বস্তিতে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
উত্তরার রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা ৩৮ মিনিটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর দুপুর ২টা ২মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন কারও প্রাণহানি না হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ কেমন তা জানাতে পারেনি দমকল বাহিনী।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, উত্তরার-১২ নম্বর সেক্টরে শাহ মাখদুম সড়কে লাভলীন রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তারা ছুটে যান। আগুনের ভয়াবহতা বেশি হওয়ায় একে একে ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। এরপর তারা সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করেন।
এর ঠিক ১০ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বনশ্রী সি-ব্লকে। সেখানে রাত সাড়ে আটটার দিকে ছয় তলা একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৯টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে বনশ্রী সি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাসায় আগুনের খবর পেয়ে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন বেশি বড় হয়নি, দুটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানান তিনি।

তৃতীয় ও শেষ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর বনানীতে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বনানীর ২২ নম্বর সড়কের কে ব্লকে একটি বস্তিতে শেষ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ৫টা ৪১ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এরপর বারিধারা, তেজগাঁও ও কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের সাতটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়। তাদের প্রচেষ্টায় সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আর সাড়ে ৮টার দিকে পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয় আগুন।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম দোলন বলেন, ফায়ার স্টেশনের মোট সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি।
এমআর