সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর পর টঙ্গী ইজতেমা ময়দান, আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকা এবং উত্তরা ও তুরাগ নদ সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) পৃথক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।


বিজ্ঞাপন


 ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায়‌ জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার দুপুর ২টা থেকে কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হলো।

অপরদিকে জিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন ২০১৮ এর ৩০ ও ৩১ ধারায় পুলিশ কমিশনারকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বুধবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় নিম্নলিখিত আদেশ বলবৎ থাকবে।

আদেশ সমূহ হলো— বিশ্ব ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা জমায়েত এবং কোনো মিছিল সমাবেশ করতে পারবে না। কোনো প্রকার অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্যাদি বা এ জাতীয় কোনো পদার্থ বহন করতে পারবে না। এছাড়া কোনো প্রকার লাউড স্পিকার বা এ জাতীয় কোনো যন্ত্র দ্বারা উচ্চস্বরে কোনো শব্দ করতে পারবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে বুধবার ভোররাত তিনটার দিকে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি উভয়পক্ষে প্রায় শতাধিক আহত হন।


বিজ্ঞাপন


গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিব ইস্কান্দার জানান, নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকাল বেলাল (৬০) ও বগুড়ার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (৬৫)। সংঘর্ষে আহত ৪০ জন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

এদিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। এছাড়া ঘটনাস্থলে সকাল থেকে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, কাকরাইল মসজিদ ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত।

কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র‍্যাব-৩ নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে জানান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম।

ইএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর