বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পদ্মা সেতুতে প্রমাণ হয়েছে আমরা পরনির্ভরশীল নই: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২২, ০৯:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

পদ্মা সেতুতে প্রমাণ হয়েছে আমরা পরনির্ভরশীল নই: প্রধানমন্ত্রী

বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ বাংলাদেশ যে পরনির্ভরশীল নয় সেটা প্রমাণ করেছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই তার সরকার এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলে জানান সরকারপ্রধান।

বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমরা এটা করেছি। বিদেশি সাহায্যে নয়, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে, যেটা আজ করা সম্ভব হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন দুর্নীতির প্রশ্ন তোলে তখন আমরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি। তারা সেটা প্রমাণ করতে পারেনি এবং কানাডার আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে- এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ ভুয়া এবং মিথ্যা। কিন্তু, সে সময় একটি প্রচণ্ড চাপের মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি নিয়েও নানা ধরনের কথাবার্তা দেশের অনেকে বলেছে।’ 

বাংলাদেশ সম্পর্কে কেউ কোনো বিরূপ মন্তব্য করলে তার নিজের কষ্ট হয়, সেজন্যই বিশ্বব্যাংকের অভিযোগটিকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই কষ্ট লাগাটা স্বাভাবিক। কারণ এদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা তার সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সন্তান হিসেবে বাবাকে আমরা খুব একটা কাছে পাইনি। তাই এই স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখন প্রধান কাজই হচ্ছে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা।’


বিজ্ঞাপন


সরকারপ্রধান বলেন, ‘নিজের ভাগ্য গড়তে নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তেই এই ক্ষমতায় আসা। তারা অপবাদ দিতে চেয়েছিল, তবে সততার শক্তি ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, বাংলাদেশ পরনির্ভরশীল নয়, নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারে।’ তিনি জানান, আজকে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের শতকরা ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে।

hh

একটি ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বব্যাংকের পদক্ষেপের পেছনে ঘরের শত্রু কাজ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংককে দোষ দেব না, কারণ ঘরের শত্রু বিভীষণই হয়। আপনারা জানেন, ড. ইউনূসই এই কাণ্ডটা ঘটিয়েছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদটার জন্য। যে পদ তিনি বয়সের কারণে হারিয়েছিলেন। পরে তিনি সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সবার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেও সেখানে পরাজিত হন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের আইন অনুযায়ী তিনি সে ব্যাংকের এমডি থাকতে না পারাতেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে অর্থাৎ আমেরিকার সরকারকে দিয়ে সে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে বাধ্যকে করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিতে।’

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন রেমিট্যান্স যেমন ভালো আসছে তেমনি রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনশক্তি রফতানিও বেড়েছে। আগামীতে যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসার সম্ভাবনা সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজও সরকার হাতে নিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে অন্তত এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশটা বদলে গেছে। দেশে আজ মঙ্গা নেই, দুই বেলা খাবারের নিশ্চয়তা বিধানের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি নিশ্চয়তা বিধানে সরকার কাজ করছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।’

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর